বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পূরণ হবে পার্বত্যাঞ্চলের লাখো মানুষের প্রত্যাশা

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে

রামগড় (খাগড়াছড়ি) থেকে রতন বৈষ্ণব ত্রিপুরা : | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় মহামনি দারোগা পাড়া সীমান্ত এলাকায় ফেনী নদীতে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণ হলে পার্বত্যাঞ্চলের লাখো মানুষের আর্থিক উন্নতির দ্বার খুলে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। গত ১৭ মে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান মৈত্রী সেতু-১ পরির্দশন কালে সাংবাদিকদের বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন অতুলনীয়ভাবে এগিয়েছে। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধের অবদান স্বরূপ ফেনী নদীর উপর প্রস্তাবিত এই ব্রিজ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ, ব্যবসা, পর্যটনসহ সু-সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করবে।
রামগড় উপজেলা পরিষদের নবর্নিবাচিত চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা বলেন, বর্তমান সরকারের উন্ন্য়ন কাজের অংশ হিসেবে রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণের কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে যাওয়ায় পার্বত্যবাসী আশার আলো ইতোমধ্যে দেখা শুরু করে দিয়েছে। স্থলবন্দরটি পুরোদমে চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষ অর্থনীতিতে অবদান রাখাসহ আর্থিক উন্নতির দ্বার খুলে যাবে এমনটি আশা করছেন।
জানা যায়, চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দরকে ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মনিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলসহ এ সাতটি রাজ্যের (সেভেন সিস্টার্স) সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে দুই বাংলার সরকার এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। স্থলবন্দরকে ঘিরে বন্দর টার্মিনাল, গুদামঘরসহ অন্যান্য অবকাঠামো র্নিমাণে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমন্ত্রনে ঢাকা সফরে আসলে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে ফেনী নদীর উপর রামগড়-সাবরুম স্থানে মৈত্রী সেতু-১ এর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। মৈত্রী সেতু ১ নির্মাণে গত ১২ জানুয়ারি দেশটির ন্যাশনাল হাইওয়েস এন্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) সংস্থাটি ৮২ দশমিক ৫৭ কোটি ভারতীয় রুপি ব্যয়ে ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৪ দশমিক ৮০ মিটার প্রস্তের ব্রিজের কাজটি ২৭ অক্টোবর ২০১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল ২০২০ সাল পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে। সেতুটি নির্মাণের সময়সীমা নির্ধারণ করে গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দরপত্র আহ্বান করলে আগরওয়াল কনস্ট্রাকশন নামে গুজরাটের একটি প্রতিষ্ঠানকে সেতুটি নির্মাণের জন্য মনোনীত করে ভারত সরকার। আন্তর্জাতিকমানের সেতুটি যুক্ত হবে রামগড় বারইয়ার হাট-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে অপরদিকে ভারত অংশে নবীনপাড়া ঠাকুরপল্লী হয়ে সাব্রুম আগরতলা জাতীয় সড়কে যুক্ত হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন