শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

পুলিশ জনগণের বন্ধু এ কথা মনে রাখা দরকার

মহিউদ্দিন খান মোহন | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

পদস্থ ব্যক্তিদের মুখ থেকে যখন আশা জাগানিয়া বাণী শোনা যায়, তখন বুকটা ভরে ওঠে। হতাশার কুয়াশা ভেদ করে আশার আলো ফুটে উঠবে অচিরেই, এমনটি ভাবতে ইচ্ছে করে। মনে হয় আমরা অসহায় নই। আমাদের পাশে আছে কর্তব্য সচেতন ব্যক্তিরা, যাদের ওপর আমাদের দেখভাল করার দায়িত্ব অর্পিত। কিন্তু যদি সে আশার বাণীর সাথে বাস্তবতার মিল খুঁজে পাওয়া না যায়, তখন তা পরিণত হয় অসার বাণীতে। দ্বিগুণ হতাশা গ্রাস করে মনকে।
ঢকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন রাজধানী ঢাকায় কোনো ছিনতাইকারি এখন নেই। সব নাকি তারা ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিয়েছেন। গত ২২ মে রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে দুস্থদের মধ্যে ঈদের নতনু পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি ও কথা বলেছেন। ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, রোজা শুরুর পর রাজধানীতে একটি চুরির ঘটনাও ঘটেনি। তাছাড়া ডাকাতি ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেনি। ছিনাতাই পার্টি, মলম পার্টি, মাইক্রোপার্টি কোনোটাই নেই। সবাইকে ধরে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার এই বলে নগরবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, আগে পুলিশ খবরদারি করত, এখন সেটা বন্ধ হয়েছে। পুলিশ জনসাধারণের সহযোগিতায় নিয়োজিত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনারের কথাগুলো সবারই ভালো লাগার কথা। । বুকে এক ধরনের সাহস ও শরীরে শিহরণ জাগানোর মতো। পুলিশ আমাদেরকে, মানে দেশের জনগণকে সহযোগিতার জন্য সর্বদা প্রস্তুত- এ খবরে কে না উদ্বেলিত হবেন? অনেকেরই মনের কথা-আহা, সত্যি যদি এমন হতো! কতই ন ভাল হত। তাছাড়া আমরা, মানে দেশবাসী তো এমনটিই চাই। আমরা চাই, আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের কর্তব্য পালনে একই সঙ্গে নিষ্ঠাবান এবং সৎ থাকবে। তারা দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের অঙ্গীকার থেকে কখনো একচুলও নড়বে না। তারা জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট থাকেবে। তারা এমন পুলিশ হবে যে, তাদেরকে দেখা নয়, নাম শুনলেই অপরাধী-দুষ্কৃতকারীদের আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বাস্তবতাকে নিয়ে। সেদিকে তাকালে আশ্বাসের বায়ূতে ফুলে ওঠা আশার বেলুনটি মুহূর্তেই চুপসে যায়। বন্যপ্রাণীর মধ্যে ময়ূর দেখতে অত্যন্ত সুন্দর হলেও তার পা নাকি ততোধিক কদাকার। তারা যখন পেখম তোলে তখন তা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। প্রচলিত আছে- সেই পেখম তোলা ময়ূর যখন তার পায়ের দিকে তাকায়, অমনি তার পেখম চুপসে যায়।
আমরা ডিএমপি কমিশনারের কথায় আস্থা স্থাপন করতে পারতাম, যদি না প্রতিনিয়ত সংবাদ মাধ্যমে পুলিশের কতিপয় সদস্যের দ্বারা সংঘটিত অপরাধের খবর পাঠ করতে হতো। আর সে সব খবর এতাটাই পিলে চমকানো যে, কখনো কখনো তা সত্যি বলে মানাও কষ্টকর হয়ে ওঠে। হ্যাঁ, এটা হতে পারে যে, রোজা এবং ঈদকে উপলক্ষ্য করে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্তা গ্রহণ করায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, রাজধানীতে ছিনতাই একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে, কমিশনার মহোদয়ের এ সরল উক্তি সর্বাংশে গ্রহণীয় নয়। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় অনেকেই দিনে-রাতে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়ানোর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলে থাকেন। তবে, তারা থানায় যান না মামলা রেকর্ড করাতে। কেন যান না? তারা মনে করেন এতে কোনো লাভ হয় না। বরং অনেক সময় নানা উটকো ঝামেলায় পড়তে হয়। ফলে অনেক ঘটনাই থানায় রেকর্ড হচ্ছে না। গত ২৫ মে’র একটি দৈনিকে একই কথা বলা হয়েছে। ‘হঠাৎ সক্রিয় ছিনতাই চক্র’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীতে ছিনতাইকারীরা সক্রিয় রয়েছে। ঈদ মার্কেটে এসব ছিনতাইকারীর শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, গত চার মাসে ঢাকায় ৪১টি ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে, তবে সংঘটিত ঘটনা আরো বেশি। অনেক ঘটনাই থানায় মামলা হয় না। ভূক্তভোগীদের থানা পুলিশ এড়ানোর এ চেষ্টাকে যদি ‘ঢাকায় ছিনতাইকারী নেই’ বলে ধরে নিতে হয়, তাহলে তা হবে সত্যের অপলাপ। কেননা, যেসব ঘটনার মামলা থানায় রেকর্ড হয়, সেগুলোর কথাই আমরা জানতে পারি। বাকিগুলো থেকে যায় অজানা। সুতরাং থানায় অভিযোগ নেই বা কম হওয়ায় তৃপ্তির ঢেকুর তোলা বা আত্মপ্রসাদের সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।
এবার আসি জনসাধারণের প্রতি পুলিশের দায়িত্ব পালন প্রসঙ্গে। পুলিশ আগে খবরদারি করত, এখন আর করে না বা তারা জনসাধারণের সহযোগিতার জন্য নিয়োজিত-কথাগুলো শুনতে ভালোই লাগে। কিন্তু যারা সে সেবা বা সহযোগিতার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন, তারাই বুঝেছেন তার স্বরূপটা কী। তাছাড়া প্রতিনিয়ত যেসব খবর পত্রিকায় আসে তা থেকেও পুলিশের সেবার একটি চিত্র অনুমান করা যায়। এখানে সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করছি। ঘটনাস্থল মাদারীপুর। জেলা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত মোক্তার হোসেন নামের এক পুলিশ সদস্য স্থানীয় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ধরা পড়ার ভয়ে তাকে দালানের ভেন্টিলেটার দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ মে। খবরে বলা হয়েছে, উক্ত পুলিশ সদস্যের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বাড়িতে গেলে সুযোগ বুঝে মোক্তার হোসেন ওই ছাত্রীকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। স্থানীয় অধিবাসীরা ঘটনা টের পেয়ে বাইরে থেকে ঘরটি তালাবদ্ধ করে দেয়। তখন সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ভেন্টিলেটার দিয়ে মেয়েটিকে বাইরে ফেলে দেয়। এতে মেয়েটির একটি পা ভেঙে গেছে। সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সর্বশেষ খবর হলো, ওই পুলিশ সদস্যকে গত ২১ মে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরের খবরটি এসেছে নরসিংদী জেলার বেলাবো থেকে। সেখানে আপোসনামা জমা দিতে গিয়ে থানার এসআইয়ের হাতে নাজেহাল হয়েছে আসামি পক্ষ। গত ১৯ মে পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আপোসনামা গ্রহণের জন্য বেলাবো থানার এস আই সেতাব আলী দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে। তা না দেওয়ায় সে আসামিদের বাড়িতে গিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর, নারীদের মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। আর আসামি না হওয়া সত্তে¡ও আসামির ছোটবোনকে ধরে এন থানায় আটকে রাখে। এ ঘটনায় আসামি ও ভূক্তভোগী মেয়েটির মামা নরসিংদী জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে, অভিযুক্ত এস আইয়ের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তৃতীয় খবরটি এসেছে নাটোর থেকে। বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে ডিম বোঝাই একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশ্ববর্তী পথচারী সড়কে নেমে পড়ে। খবর পেয়ে বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পিকআপ চালক তাদের সহযোগিতা চায়। পুলিশ পিকআপ ভ্যানটি সড়কে তুলতে ২০ হাজার টাকা রেকার বাবদ চায়। চালক অত টাকা নেই জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ ডিমের খাঁচা আটকানো দড়ি কেটে দেয়। এতে খাঁচাগুলো রাস্তায় পড়ে প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার ডিম ভেঙে যায়। এ ঘটনার পর ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
একশ্রেণির পুলিশের কিছু কাজকর্ম জনমনে এ বাহিনীটির ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করছে বহু আগে থেকেই। পুলিশ, দুদক আর ব্যাংকের কথিত ভুলের কারণে নিরীহ পাটকল শ্রমিক জাহালমের তিনটি বছর কারাগারে বাস করার খবর এখন পুরানো। তেমনি আরেকটি ঘটনার খবর এসেছে যশোর থেকে। গত ১১ মে একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, একটি হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামির পরিবর্তে তিন মাস ধরে কারাভোগ করছে নিরীহ যুবক সবুজ। খবরে বলা হয়েছে, খুনের মামলার আসামি জনি। সে পলাতক। তার পরিবর্তে পুলিশ গ্রেফতার করে হাজতে ঢুকিয়েছে ট্রাকচালক সবুজ বিশ্বাসকে। কারণ সবুজ ও জনির পিতার নামে মিল রয়েছে। তিন মাস পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়ে কোনো সুফল না পেয়ে সবুজের বাবা খায়রুল ইসলাম শরণাপন্ন হয়েছেন আদালতের। গত ৯ মে আবেদনটি আমলে নিয়ে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা জজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছেন এবং ২২ মে হত্যা মামলার বাদী নিহত মিঠুর ভাই ইস্রাফিল শেখসহ তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনার সর্বশেষ খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশকে নিয়ে নেতিবাচক খবরের অন্ত নেই। না, এটা বলা যাবে না পুলিশ ভাল কাজ করে না তা নয়। কিংবা এটাও বলা যাবে না যে, সব পুলিশই খারাপ। তাদের মধ্যেও কর্তব্যনিষ্ঠ, ন্যায়পরায়ন ও সৎ কর্মকর্তা রয়েছেন। আর তারা আছেন বলেই এখনো বিভিন্ন অনাচার-অবিচারের ঘটনায় মানুষ আইনের সহায়তা পায়। নিষ্ঠাবান ওইসব পুলিশ রয়েছেন বলেই অনেক ক্লু লেস হত্যাকান্ডর রহস্য উন্মোচিত হয়। ধরা পড়ে দুর্ধষ সব ক্রিমিনাল। কিন্তু যখন দেখা যায় পুলিশেরই কোনো সদস্য সেই ক্রিমিনালদের চেয়েও জঘন্য ঘটনা ঘটায়, তখন সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে পুলিশ কী কখনোই শোধরাবে না? এ নিয়ে গত ৩ মাচের্র একটি দৈনিকের ‘স্বভাব বদলায়নি পুলিশের’ শিরোনামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের আহ্বান-নির্দেশ থাকা সত্তে¡ও জনগণের বন্ধু হয়ে উঠতে পারছে না পুলিশ। ঘুষ আর নানা দর্নীতির বৃত্তের বাইরে আসতে পারছে না এ বাহিনীটি। পত্রিকাটি লিখেছে, পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির পাশাপাশি অভিযোগ রয়েছে ওসিদের থানায় সালিশ বৈঠক বসানোর। মামলা না নিয়ে তারা থানায় বাদী-বিবাদীকে নিয়ে সালিশ-বিচার করে করে থাকে। সম্প্রতি সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় একটি মামলার ঘটনায় ওসির মধ্যস্থতাা করার অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করেন ভ‚ক্তভোগীরা। শুনানিতে বিচারপতি নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ থানায় বসে মামলার আগেই অভিযোগের সমঝোতা করে ফেলছে। এতে দুই পক্ষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হচ্ছে না। গোটা পুলিশ বিভাগের বদনাম হচ্ছে।’ মামলার নিষ্পত্তি বা বিচার-সালিশ পুলিশের কাজ নয়। তাদের কাজ অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া। বিজ্ঞ আদালত ঘটনার বিচার করে প্রতিবিধান দেবেন। কিন্তু দেশের অনেক স্থানেই ওসি সাহেবদের বিচারক সেজে মামলার নিষ্পত্তি করার খবর পাওয়া যায়। বিশেষত সন্ধ্যার পরেই এসব ‘ওসির আদালত’ বসে থাকে। এ ধরণের বিচার-সালিশের পেছনে অর্থ-কড়ির বিরাট ভ‚মিকা থাকার অভিযোগ রয়েছে। বলা হয়ে থাকে- দুই পক্ষের মধ্যে আর্থিকভাবে সচ্ছল পক্ষের দিকেই ওসি সাহেবের বিচারের পাল্লা ঝুঁকে থাকে।
পুলিশের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, এত ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়ছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ত্বরিত অ্যাকশনও হচ্ছে। কিন্তু অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এর অর্ন্তনিহিত কারণ সম্পর্কে নানা জনের নানা অভিমত রয়েছে। তবে, একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, অনৈতিকতার ব্যাধি এ বাহিনীটিকে প্রবলভাবে গ্রাস করেছে। তদুপরি রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুলিশের ব্যবহার। ইদানীং পুলিশ সদস্যদের একটি অংশের মধ্যে যে ড্যাম কেয়ার ভাবের সৃষ্ট হয়েছে, তার মূলে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদেরকে ব্যবহার। রাষ্ট্রীয় একটি বাহিনী যখন কোনো একাট দলের সহযোগী সংগঠনের মতো ব্যবহৃত হয়, তখন তার ওপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ আলগা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এ সত্যটি আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রের পরিচালকরা যত দ্রুত উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন, ততই মঙ্গল।
লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন