ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ এলাকায় রাইছ মিলের ছাই উড়ে পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারন করেছে। রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে স্থানীয় এলাকাবাসী। নষ্ট হচ্ছে সরকারি নথিপত্র ও কোটি কোটি টাকা মূল্যের বৈদ্যুতিক মালামাল। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও রহস্যজনক কারণে নিশ্চুপ খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তারা। এ নিয়ে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এবং ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে নীতিমালা ভঙ্গ করে গড়ে উঠা ‘যমযম এগ্রো লিমিটেড’ এবং ‘হাজী অটো রাইছ মিলে’র ছাই উড়ে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করছে। ছাই বিড়ম্বনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় এলাকাবাসীর জনজীবন। অভিযোগ উঠেছে, নীতিমালা অনুযায়ী মহাসড়ক থেকে কমপক্ষে ৬৫ফুট দূরত্বে মিলগুলো স্থাপন হওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ওই মিলগুলো স্থাপনের ক্ষেত্রে মানা হয়নি ওই নীতিমালা।
সূত্রমতে, মিলের ছাইয়ে পরিবেশ দূষণের শিকার হয়ে চলতি বছরের ২২মে স্থানীয় পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘রাইছ মিলের ছাইয়ে অফিস ও আবাসিক ভবনে পরিবেশ দূষণ প্রসঙ্গে’ অভিযোগ দায়ের করেছেন ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. সোহেল পারভেজ। অভিযোগে তিনি দাবি করেন, সমিতির বাউন্ডারি দেয়ালের পাশ্ববর্তী উত্তর ও পূর্ব দিকে স্থাপিত দুইটি মিলের ছাইয়ে সরকারি কোটি কোটি টাকার বৈদ্যুতিক মালামাল ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নষ্ট হচ্ছে। একই সাথে ছাই দূষণে সমিতির ভবনে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পরিবারের সদস্যরা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে’ দাবি করে পরিবেশ দূষণ রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেনারেল ম্যানেজার।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, ছাইয়ের কারণে স্থানীয় কৃষি জমির ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাছাড়া ছাইয়ের উড়ে চোখে পড়ার কারণে মাঠে কাজ করা যায় না। এর ফলে চোখের সমস্যা এবং শ্বাসকষ্ট বাড়ছে।
স্থানীয় দেশবন্ধু মৎস্য হ্যাচারি ও নার্সারীর প্রতিষ্ঠাতা মনসুর আলী জানান, অপরিকল্পিতভাবে মিলের ছাউ উড়ে পরিবেশ দূষণের কারণে কোটি টাকা মূল্যের মাছের রেনুপোনা নষ্ট হয়েছে। এবিষয়ে ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক উপ-সচিব ফরিদ আহ্মদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন