নওগাঁয় এক প্রতারক যুবক প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক যুবতিকে ধর্ষণ করার আভিয়োগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর থানাদীন আলাদাদপুর গ্রামের লৎফর রহমানের ছেলে আরিফ ইশতিয়াক বন্ধন (২৫) ঢাকায় বসবাস করতো। তার ব্যাবহারিত মোটসাইকেল ঢাকা মিরপুর (সি-৬ বøক-বি) এলাকায় শফিকুল ইসলামের বাসভবনের নিচে গারেজ ভাড়া করে রাখতো।এই সুবাদে শফিকুল ইসলামের যুবতি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অবশেষে গত ২২মে প্রতারক প্রেমিক বন্ধন ওই যুবতিকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে নওগাঁয় নিয়ে এসে একটি বাসায় ২৫মে পর্যন্ত আটকে রেখে জোড়পূর্বক একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করে। ওই যুবতি বিয়ের কথা বললে প্রতারক বন্ধন তাকে বিয়ে করতে অস¦ীকার করে। এতে ওই যুবতি কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতারক বন্ধন কৌশলে তাকে বিয়ে করার নাম করে নওগাঁ শহরস্থ বালুডাঙ্গা বাস ষ্টান্ডে নিয়ে এসে ওই যুবতিকে রেখে সটকে পরে। ওই যুবতি প্রতারককে খুজে না পেয়ে অবশেষে ২৫মে নওগাঁ সদর মডেল থানায় সু-বিচারের জন্য শরনাপন্ন হয়। থানার ও’সি তদন্ত মু: ফয়সাল বিন আহসান ওই যুবতিকে থানার এসআই ফেরদৌসির নিকট হেফাজতে রেখে দেয়। পরের দিন সকালে ভিকটিমের মায়ের চাচাত ভাই মোকলেছুর রহমান থানায় আসলে কোন অজ্ঞাত কারণে থানার ও’সি তদন্ত মু: ফয়সাল বিন আহসান ভিকটিমের কোন মামলা না নিয়ে তার জিম্মায় ছেড়ে দেই। এর পর গত ২৬ মে ওই ভিকটিম পূনঃরায় নওগাঁ শহরে আসে। ভিকটিমকে দেখে জনৈক ব্যাক্তি তাকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে গাইনি বিভাগের ৩নং কেবিন ভাড়া করে রোগী সেজে রাখে। ঘটনাটি কোন এক সাংবাদিক জানতে পেরে ওই রাতেই নওগাঁ সদর মডেল থানার ও’সিকে অবগত করলে ও’সি তৎক্ষনিক ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ভিকটিমের মুখে বিস্তারিত শোনেন এবং ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রতারক প্রেমিক বন্ধনকে আটক করে। সোমবার সকালে ভিকটিম নিজে বাদি হয়ে থানায় মামলা করে। এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার ও’সি সোহ্রাওয়ার্দী হোসেন এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ভিকটিমের বাদীত্বে থানায় মামলা হয়েছে। ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে এবং আসামীকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলাটি বিশেষ ভাবে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন