বঙ্গোপসাগরে হাজারো প্রজাতির মৎস্য সম্পদ ছাড়াও সাগর উপক‚লে সম্ভাবনাময় ১১৭ প্রজাতির সী-উইড শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানিরা। কক্সবাজারসহ দেশের ৭১০ কিলোমিটার ব্যাপী সমুদ্র সৈকত এবং ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার ব্যাপী উপক‚লীয় অঞ্চল সী-উইড বা সামুদ্রিক শৈবাল উপযোগী। কক্সবাজারস্থ বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীদের ছয় বছরের গবেষণায় বঙ্গোপসাগরে ১১৭ প্রজাতির সী-উইড শনাক্ত হলেও এরমধ্যে ১০টি রফতানি যোগ্য ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাভজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। দেশের বøু-ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পর্কিত অর্থনীতি জোরদার করার জন্য বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এ প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে কাজে লাগানোর আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ও মৎস্য বিজ্ঞানী ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ।
গত সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সাগরপাড়ের এক হোটেলে কক্সবাজারস্থ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কক্সবাজার উপক‚লে সী-উইড চাষের সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
কক্সবাজারস্থ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন ফিশারিজ ইন্সটিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. জাহেদুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রামস্থ সামুদ্রিক মৎস্য জরিপ ব্যবস্থাপনা ইউনিটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. লতিফুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের গবেষণা শাখার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কাঁকড়া বিশেষজ্ঞ ড. ইনামুল হক এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. হারুনুর রশীদ। কক্সবাজার জেলা মৎম্য কর্মকর্তা এসএম খালেকুজ্জামান ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোহাম্মদ শরিফউদ্দিন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কক্সবাজারস্থ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মহিদুল ইসলাম। কর্মশালা পরিচালনায় ছিলেন উপ-পরিচালক ড. আবদুর রাজ্জাক ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জাকিয়া খানম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন