শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কুমিল্লায় খাদির কদর বেশি

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল : | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৯, ১:৫৮ এএম

কুমিল্লার ঐতিহ্যের খাদি এখন ফ্যাশনে সময়ের চাহিদা মেটাচ্ছে। ঈদকে ঘিরে কুমিল্লায় খাদি কাপড়ের দোকানে প্রতিদিনই ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।
রমজানের শুরু থেকে বর্ণিল সাজে সেজেছে কুমিল্লার শপিংমলগুলো। রংবেরঙের আলোকসজ্জা দৃষ্টি কেড়েছে ক্রেতাদের। দোকানে দোকানে পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পোশাকের সংগ্রহ ঘুরে ঘুরে দেখছেন। নিজের পছন্দের সঙ্গে মিলে গেলে কিনে নিচ্ছেন পোশাক। খাদির বিকিকিনি বেড়েছে রমজান শুরুর প্রথম থেকে। জেলার বিভিন্ন উপজেলার মার্কেটের দোকানিরা পাইকারি দরে সংগ্রহ করছেন নানা ডিজাইনের খাদি বস্ত্র। এছাড়া দৃষ্টিনন্দন ও আরামদায়ক হওয়ায় খাদি কাপড়ের পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস ক্রয় করছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ।

সরজমিনে দেখা যায়, ঈদকে ঘিরে কুমিল্লার খাদি পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি, ফতুয়া, সেলোয়ার কামিজ, ওড়নায় নজরকাড়া ডিজাইন আনা হয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে খাদির সব ধরণের পোশাকে আধুনিকতা আসলেও খদ্দরের সেই মোটা কাপড়ের পাঞ্জাবি আগের জৌলুস ধরে রেখেছে। খাদির পোশাক যেমন দৃষ্টিনন্দন তেমনি আরামদায়ক। মহানগরীর মনোহরপুর ও লাকসাম রোডে খাদিপণ্য বিক্রির পুরানো দোকানগুলোর পাশাপাশি অসংখ্য নতুন দোকান গড়ে উঠেছে।

খাদি পাঞ্জাবি ভালো বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ভুঁইয়া ম্যানশনের পদ্মা খাদিঘরের স্বত্বাধিকারী এমরান হোসেন। তিনি বলেন, শপিং কমপ্লেক্সের কাপড়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাদি কাপড়ের বাহারি ডিজাইনের পরিমাণ বাড়ছে। ঈদকে ঘিরে খাদি ফ্যাশনেবল পোশাক হওয়ায় ক্রেতাদের পছন্দ বেড়েছে। এছাড়া হাতে কাটা মোটা সুতার সঙ্গে যন্ত্রে বোনা মিহি সুতার মিশ্রণ। কখনও কাপড়ের মিশ্রণে থাকে খাদি সিল্ক ও কটন সিল্ক। আবার খাদির সঙ্গে রকমারি সুতার বুননের পর ভেতরে বøক দিয়েও তৈরি করা হয় নানা ফ্যাশনের পোশাক। খাদি কাপড়ের পোশাক সারা বছরই বেচাবিক্রি হয়ে থাকে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়, মনোহরপুর ও লাকসাম রোড় এলাকায় অর্ধশতাধিক খাদি পণ্যের দোকানে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ব ্যাপক ভিড়। তরুণদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে শর্ট পাঞ্জাবি, মেয়েদের কাছে শর্ট ফতুয়া ও থ্রি-পিস। শিশুদের ফতুয়াও বিক্রি হচ্ছে সমান তালে।

খাদি বিতানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে বাটিকের শাড়ি, থান কাপড়, বিছানার চাদর, পর্দার কাপড়, ছোটদের প্যান্ট, শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক। জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা গ্রামের গ্রামীণ খদ্দর ভান্ডারের স্বত্ত¡াধিকারী রঞ্জিত দেবনাথ জানান, বাপ-দাদার ঐতিহ্যের পেশা হিসেবে এখনও কাপড় বুনছি। কুমিল্লা মহানগরীর প্রবীণ খাদি কাপড়ের ব্যবসায়ী খাদিঘরের স্বত্ত্বাধিকারী প্রদীপ কুমার বলেন, শুধু মুসলমানের ঈদ নয়। সব ধর্মের উৎসবে খাদির চাহিদা বাড়ছে। খাদি শিল্পের প্রসারে মাঠ পর্যায়ে প্রান্তিক খাদি শিল্পীদের সঠিক ভাবে জরিপ করে তাদের অসুবিধা-অসুবিধা জেনে তাদের সংগঠিত করা উচিত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন