শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছে শত নাগরিক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৯, ৮:৫০ পিএম

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছে শত নাগরিক। বুধবার (২৯ মে) সংগঠনটির এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিক গগনের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র, মানুষের অধিকার আদায় ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামের আপসহীন নেত্রী, দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শাররীক অবস্থা নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আসন্ন ঈদুল ফিতররে আগেই দেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এই মহয়িসী প্রবীণ নেত্রীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়- বেগম খালেদা জিয়া র্দীঘদিন ধরইে নানা অসুখে ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায়ই এক বছররে বেশি সময় ধরে দেশের জনপ্রয়িতম এই নেত্রীকে রাজনৈতিক উদ্দশ্যেপ্রণোদিত মামলায় কারাদ- দিয়ে নাজিমউদ্দীন রোডের জনমানবহীন পরিত্যক্ত কারাগারে এক অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে আটকে রাখা হয়য়েছে। চিকিৎসকগণ জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁর দুই হাত ও কাঁধরে ব্যথা মারাত্মক পর্যায়ে। তাঁর ডায়াবেটিসও বিপজ্জনক মাত্রায় রয়েছে। মুখের ভেতর সৃষ্টি হয়েছে ক্ষত। তাঁর স্বাস্থ্যের এতই অবনতি হয়েছে যে, তিনি স্বাভাবিকভাবে খাবারও গ্রহণ করতে পারছেন না। সরকারী নিষ্ঠুরতার ক্ষমাহীন ঔদাসীন্যে আরও নানান অসুখে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়া একপর্যায়ে নিজেই নিজের স্বাস্থ্যের অবনতির কথা আদালতকে জানাতে বাধ্য হন। সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ডও তাঁর ‘কার্পল টানেল সনিড্রোমের’ কথা উল্লেখ করে।

এই অবস্থায় আমরা অত্যান্ত ব্যথিত ও উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ করছি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে প্রতিহিংসামূলক সাজানো মামলা থেকে উচ্চতর আদালত তাঁকে জামিন দিলেও, নানা প্রকার চালাকি-চাতুর্যের মাধ্যমে আরও ৩৪টি মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁর কারামুক্তির পথকে সংকুল করে তুলেছে সরকার। সরকারের এই অন্যায় আচরণ একদিকে যেমন অমানবিক, অন্যদিকে তেমনি গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এইসব কর্মকা-ের একটাই কারণ থাকতে পারে, এই মহিয়সী নেত্রীকে তিল তিল করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়াা। আদালতের কাঁধে সওয়ার হয়ে সরকার তাঁকে একধরনের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বলে আমাদের ধারণা।

শতনাগরিক নামের এই সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণে, সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও প্রাতষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ইতিহাসে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে, দেশের অর্থনীতি, শিল্পায়ন, কৃষি, শিক্ষা, নারীর সামগ্রিক উন্নয়নে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও দুর্যোগ মোকাবিলার ইতিহাসে তিনি যে অবদান রেখেছেন, তা আমাদের জাতীয় ইতিহাসে চিরকাল স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সেই জন্যই তাঁর শাসনামলে বাংলাদেশকে ‘এশিয়ার ইমার্জিং টাইগার’ হিসাবে বিশ্ববাসী সম্মান দেখেয়েছিল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সেই মহান নেত্রী আজ নূন্যতম মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। তাঁর প্রতি প্রদর্শিত এই হৃদয়হীন আচরণ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার যদি মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা হয়ে থাকে, তাহলে বলতেই হয়, সেই মহান লক্ষ্য থেকে তাকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত করা হচ্ছে।

তারা বলেন- বর্তমান সরকারকে মনে করিয়ে দিতে চাই, ইতিহাস সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। ইতিহাস নির্যাতিত-নিষ্পেষিত জনমানুষের পক্ষে। এইজন্যই হিটলার মুসোলিনীর মতো মহা ক্ষমতাধর ব্যক্তিও নিক্ষিপ্ত হয়েছে আস্তাকুড়ে। আমরা প্রত্যাশা করি, কল্যাণ, মঙ্গল ও শ্রেয়বোধ আমাদের অন্তরআত্মাকে জাগিয়ে দিবে। সত্য ও সুন্দরের পথে সরকার এগিয়ে আসবে। তারা আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ধর্মগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করতে সক্ষম হবে। আমরা আশা করি, সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন : প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ (আহ্বায়ক), বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, মো আসাফউদ্দৌলা, ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ড. মাহবুব উল্লাহ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, আবদুল হাই শিকদার (সদস্য সচিব), ড. খন্দকার মুশতাহিদুর রহমান, ড রেজোয়ান সিদ্দিকী, ড. সদরুল আমিন, প্রফেসর আবদুর রহমান সিদ্দিকী, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, এরশাদ মজুমদার, এম আব্দুল্লাহ, এম এ আজিজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, কাদের গণি চৌধুরী, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আনহ আখতার হোসেন, প্রফেসর ড. সুকোমল বডুয়া, কামাল উদ্দিন সবুজ, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, ড. আখতার হোসেন খান, ডা:এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ড. মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (মালয়েশিয়া), ড. কেএমএ মালিক (যুক্তরাজ্য), ড. মোবাশে¡র মোনেম, ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. এবি এম সিদ্দিকুর রহমান নিজামী, প্রফেসর ড. আজহার আলী, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান, ড. খলিলুর রহমান, ড. সাহিদা রফিক, ড. মো: হায়দার আলী, প্রফেসর একেএম আজহারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর কেএএম শাহাদাত হোসেন মন্ডল, প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, প্রকৌশলী কাজী এম. সুফিয়ান, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী, প্রফেসর ড. মোশাররফ হোসেন মিঞা, এ্যাড. নুরুল ইসলাম (চট্টগ্রাম), প্রফেসর ড. মোখলেছুর রহমান, ড. বোরহান উদ্দিন খান, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. লায়লা নুর ইসলাম, ড. ইয়ারুল কবির, ড. মামুন আহমেদ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ড. ওবায়দুল ইসলাম, ড. সামসুল আলম, ড. জাহিদুল ইসলাম, ড. কামাল আহমদ চৌধুরী,ড. মফিদুল ইসলাম, আল মুজাহিদী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, কবি হাসান হাফিজ, কবি আবু সালেহ, আ: রহমান খান, আনোয়ারুল কবির বুলু, শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর, ড. মফিদুল ইসলাম, রেদোয়ান হোসেন, বাছির জামাল, ড. লুৎফর হমান, ড. মোরশেদ হাসান খান, কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, প্রফেসর মো: শহিদুর রহমান, প্রফেসর এনামুল হক, প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ, প্রকৌশলী মমতাজ আহমেদ, প্রকৌশলী আল আমিন, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ একরামুল হক, প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডী, রাশেদুল হাসান হারুন, চৌধুরী আবদল্লাহ আল ফারুক, প্রফেসর শাহনাজ সরকার রানু, মোহাম্মদ মাফরুহি সাত্তার, প্রফেসর কে এম গোলাম মহিউদ্দিন, প্রফেসর আ ক ম আবদুল কাদের, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, প্রফেসর ডা. সাইফুল ইসলাম, সামশুল হক হায়দরি, জাহিদুল করিম কচি, ইসকান্দার আলী চৌধুরী, ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, ডা. আশরাফুল কবীর ভূঁইয়া, ডা. মো. জসিম উদ্দিন, রফিক হাসান, ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ, রাশেদুল হক, হামিদুল হক মানিক, জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, মনির খান, রিজিয়া পারভীন, রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর ফিরোজ, এ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, আতিকুর রহমান সালু (যুক্তরাষ্ট্র), জয়নাল আবেদিন (যুক্তরাষ্ট্র), মঞ্জুর আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র), আবদুল্লাহিল বাকী (ফ্রান্স), তমিজ উদ্দিন (ইতালি) প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন