পাবনার বিস্তৃত চর জুড়ে এবারও চিনা বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিশেষ করে যমুনা ও পদ্মার চরে বাদাম আবাদ বেশী হয় ।
জেলার নগরবাড়ি, সুজানগর , বেড়া ,ঈশ্বরদী’র পদ্মা ও যমুনার চরে চিনা বাদাম আবাদ করা হয়। বাদাম ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ভালো ফলন ও বেশী দাম পেয়ে আবাদীদের চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক। পাবনা শহরে বাদাম কাচা ও ভাজা দুভাবেই বিক্রি হয়। জেলা শহরের চেয়ে কুমিল্লা, বরিশাল, নোয়াখালী জেলা থেকে কার্ভাড রিকশা ভ্যানে সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তারা ভাজা বাদাম বিক্রি করেন। লাভ ভালই হয়। প্রতি কেজি কাঁচা চিনা বাদাম ২শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে ।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপ-পরিচালক আজাহার আলী জানান, এ বছর সুজানগর উপজেলার পদ্মা চরে প্রায় ৮০০ হেক্টর জমিতে বাদাম রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা এর চেয়েও বেশি জমিতে বাদামের আবাদ করেছেন। আর বেড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে যমুনার চরে ১ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবহাওয়া ভাল থাকায় বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে । পাবনার বাদামের চাহিদা অন্যান্য জেলাতেও রেয়েছে। রাজধানীতেও পাবনা বাদাম যায়। বেড়ার যমুনা চর কোলচিনাখরা, চর মধুপুর, চর গনপদ্দিয়া, চর দেউনাই, চর পুকুরপাড়, চর সিংহাসন, চর বোরামারা, চর শাফুল্লা চর যদুপুর, চর ল²ীপুর চরে হাজার বিঘা জমিতে বাদামের চাষ হয়েছে।
চাষিরা জানান, বেড়ায় ঢালারচর ইউনিয়নে বাদামের চাষ করা হয় সবচেয়ে বেশি। তাছাড়াও হাটুরিয়া-নাকালিয়া ইউনিয়ন, নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন, পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চরসমূহে বাদাম চাষ হয়ে থাকে। এদিকে,
পাবনার সুজানগর পদ্মা ও যমুনার চরে সবচেয়ে বেশি চিনা বাদাম চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর বিঘা প্রতি গড়ে ১০ মণ বাদাম হয়েছে, যা গ বছরের তুলনায় ২ মণ বেশী ।
সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম বলেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর চিনা বাদামের ফলনটা খুব ভালো হয়েছে। আর আমি আশা করব আগামীতে আরও কীভাবে ভাল ফলন কৃষকরা পেতে পারেন। সে বিষয়ে তাদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা প্রদান করার আশ্বাস দেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন