রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সরজমিনে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

হাজিরা দিয়েই ডাক্তারগণ চলে গেলেন প্রাইভেট হাসপাতালে | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

চাটখিল (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা: নোয়াখালী জেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা। এখানে ডাক্তার সংকট থাকলেও যে কয়েকজন দায়িত্বরত আছেন তারা সবসময় প্রাইভেট প্র্যাকটিস নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। এতে করে চাটখিলের ৩ লক্ষাধিক জনগণ সরকারের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
লোকজন ও ভুক্তভোগীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ছাড়া অন্য কোন ডাক্তার নেই। জরুরী বিভাগসহ মেডিকেল অফিসারদের রুম তালাবদ্ধ। শতাধিক রোগী সকালে এসে চিকিৎসার জন্য টিকেট সংগ্রহ করে ডাক্তারের অপেক্ষায় বসে আছেন।

হাসপাতাল প্রধান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোস্তাক আহম্মেদ মেডিকেল অফিসার কামাল হোসেন সহ সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে হাসপাতালে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে প্রাইভেট চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে চলে গেছে। ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ ও কামাল হোসেন জেবুন্নেসা হাসপাতালে অপারেশন করছেন সকাল থেকে। ছয়ানী টবগা গ্রামের বাসিন্দা আমির হোসেন, শ্রীনগর গ্রামের আমেনা খাতুন জানান, তারা সকাল ৯টায় এসে টিকেট করে বসে আছেন কিন্তু ডাক্তার নাই। রোজা রেখে চিকিৎসার জন্য এসে তারা আরো ভোগান্তিতে পড়েছেন। এসময় ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ ও কামাল হোসেনকে ৮-১০ বার করে ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। দুপুর ১২.৩০ মিনিটে তারা হাসপাতালে আসেন। এ সময় ডাক্তার কামাল হোসেন স্বীকার করেন যে তিনি এবং হাসপাতালের প্রধান ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ জেবুন্নেসা হাসপাতালে একটি অপারেশন করেছেন। ডাক্তার মোস্তাকও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এ হাসপাতালে লোকজন চিকিৎসা সুবিধা না পেলেও এটি কাগজে কলমে মডেল হাসপাতাল। সম্প্রতি এ হাসপাতালের ডাক্তারদের দূর্নীতি অনিয়ম সহ বিভিন্ন অভিযোগ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি করে তদন্ত করলেও হাসপাতাল এবং লোকজনের চিকিৎসার কোন উন্নয়ন হয়নি। ডাক্তারগণ অফিস করেন দায়সারা ভাবে। হাসপাতালে দায়িত্বরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: শহিদুল আহমেদ নয়ন জানান, তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছেন। হাসপাতাল প্রধান ও স্বাস্থ্য পরিবার কর্মকর্তা ডা: মোস্তাক আহমেদ কোন সদোত্তর দিতে পারেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারুল আলম জানান, তিনি বিষয়টি দেখবেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন