বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইতিকাফের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৯, ১২:৪৫ এএম

ইতিকাফ একটি ফজিলতপূর্ণ আমল। আল-কুরআনে ইতিকাফের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, তোমরা মসজিদসমূহে ইতিকাফ অবস্থায় স্ত্রীদের গভীর সান্নিধ্যে গমন করো না। -সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৭। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত আরও ইরশাদ করেছেন, তোমরা দু’জনে (ইবরাহীম আ. ও ইসমাঈল আ.) আমার ঘরকে তাওয়াফকারী ও ইতিকাফকারীদের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র করে রাখবে। -সূরা বাকারাহ: আয়াত ১২৫। হাদীস শরীফেও ইতিকাফ আমলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন এবং তা চলছিল যতক্ষণ না আল্লাহ তার জান কবজ করলেন। -জামে তিরমিজী।
ইতিকাফ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো কোনো জিনিষকে বাধ্যতামূলকভাবে ধরে রাখা, কোনো জিনিষের ওপর নিজেকে শক্তভাবে আটকে রাখা। আর শরীয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ বলা হয়, মসজিদে কোনো বিশেষ ব্যক্তির বিশেষ ধরনের অবস্থান ও অবস্থিতি গ্রহণকে। আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহ.) ইতিকাফ শব্দের বিশ্লেষণে বলেছেন, ইতিকাফ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো, শুধু অবস্থান করা। যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করেছে, তাকে আকিফ বা মু’তাকিফ বলে। আর শরীয়তের পরিভাষায় এর অর্থ হলো, আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশে মসজিদে থাকা ও অবস্থান করা। আর ইতিকাফ শব্দের মূল ভাবব্যঞ্জনা হলো, কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বিন্দুতে মন-মগজকে দৃঢ়ভাবে নিবদ্ধ রেখে মসজিদে অবস্থান করা, যাতে করে সেদিক হতে দৃষ্টি অন্য কোনো দিকে নিবদ্ধ না হয়।
উপরোক্ত হাদীস হতে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) নিয়মিতভাবে রমজান মাসের শেষ দশদিন মসজিদে ইতিকাফ করতেন। এ আমল তার ইন্তিকাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। অর্থাৎ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এই আমল চালিয়ে গেছেন।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন