ঢাকা রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, এ বছর ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে কম দুর্ভোগে বাড়ি ফিরবেন। এজন্য প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে উদ্বোধন হওয়া উড়াল সড়ক আর আন্ডারপাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আজ শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে মির্জাপুর বাইপাসের পোষ্টকামুরী চড়পাড়া এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে অন্যান্য সহযোগী সংস্থা, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি পুলিশিং, জেলা প্রশাসন, বিআইডবিøউটিএসহ সকল সংগঠন সহযোগিতা করছে। আমাদের ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গতিশীল হয়েছে। এতে ঈদের আগে সামনে থাকা দিনগুলোতেও আমরা যানজটের আশঙ্কা করছি না। প্রকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা ব্যতিত অন্য কোন কারণে যানজট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সামনের সোম ও মঙ্গলবার গাড়ির চাপ বাড়তে পারে কিন্তু তা যানজটের পর্যায়ে যাবে বলে আমরা মনে করিনা।’
বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজায় টোল আদায়ে ধীরগতি সম্পর্কে ডিআইজি বলেন, ‘সেতু টোল প্লাজায় একটি বুথ বাড়ানো হয়েছে। সেখানে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হচ্ছে। ওখানে গিয়ে গাড়ি থামতে হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে গাড়ির নম্বর রিড করার পর টাকা নেয়া হয়। সেজন্য সেখানেও একটু সময় লাগে। তবে সেখানে সময় যাতে আরও কম লাগে তার ব্যবস্থা করতে সরকারিভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
যানবাহনের গতি প্রসঙ্গে ডিআইজ বলেন, ‘নির্ধারিত গতিতে যেন চালকেরা যানবাহন চালান সেদিকে পুলিশ খেয়াল রাখছে। এক্ষেত্রে চালকদেরও সর্তক থাকতে হবে। নিষিদ্ধ কোন যান যেন মহাসড়কে না উঠে সেদিকে পুলিশ খেয়াল রাখছে। আইন লংঘন করলে পুলিশ আইনানুগ পদক্ষেপ নেবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, গাজীপুরের পুলিশ সুপার বেগম শামসুন্নাহার, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া, সহকারি পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষ, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, মির্জাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক সভাপতি নিরঞ্জন পাল ও শামসুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মহাসড়কে নির্বিঘে্ন যান চলাচলের জন্য উপজেলার গোড়াই শিল্পাঞ্চল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত পুলিশের ৪৫০ জন সদস্য কাজ করছেন বলে সহকারি পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন। তিনি জানান, মহাসড়কের এই অংশে পুলিশের ভ্রাম্যমান দল, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা, পর্যবেক্ষনের জন্য টাওয়ার, নিয়ন্ত্রন কক্ষ, উপনিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন