ফারজানা ছোট থাকতে পারিবারিক সমস্যার কারনে বাবা-মা দুইজন দুই প্রান্তে আলাদা থাকে। একা ফারজানা গরিব অসহায় ভ্যান চালক দাদার কাছে বড় হচ্ছে। ফারজানা বাবা- মা’র কাছ থেকে ভালবাসাতো দুরে কথা ঈদ উপলক্ষে ভাল একটা পোশাক কখনো পেয়েছি কিনা তাও ঠিক করে বলতে পারে না। ফারুক মীর নামে এক দিন মজুরের বসত ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হওয়ার সাথে নাতির ফারজানা (৭) সাহায্য পাওয়া ঈদের পোশাক পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ছোট শিশু ফারজানার দাদা ফারুক মীর দিনমজুর কাজ করে বিকেলে পাশে বাজারে যায় এবং ফারজানা পাশের বাড়িকে ছিল আর সে সময় কিভাবে হঠাৎ করে আগুন লাগে তা কেউ বলতে পারছে না। ঘরে থাকা দুইটা কাঠের চকি, একটি কাঠের শোকেজ, পড়নের কাপড় চোপর সহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এক পর্যায়ে এলাকার মানুষ এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষনে বসতঘরের রাখা কিছু জমানো (২০ হাজার) টাকা ও দাদা-নাতি ফারজানার সাহয্য পাওয়া ঈদের জামা- কাপুড়সহ সকলকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একমাত্র ছোট বসতঘরসহ সব কিছু হারিয়ে ঈদের পূর্ব মুহুর্তে দিন মজুর ফারুক এখন দিশেহারা।
দিন মজুর ফারুক মীর বলেন, আমি এখন কি করবো, কি ভাবে নতুন বসতঘর তুলবো, আমারটা না হয় বাদ দিলাম কিন্তু আমার একমাত্র আসা, যাকে নিয়ে আমি বেঁচে আছি সেই ফারজানার আমার নাতির ঈদের জামা- কাপুড় কি ভাবে কিনবো, এখন মানুষের কাছে হাত পাতা ছাড়া উপায় নেই। তাও কে আমায় সহযোগীতা করবে?
মাদারীপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা শুনে আমিও মর্মাহত, আমি ব্যাক্তিগতভাবে ছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু পারি সহযোগিতা করবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন