বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইটি এন্ড টেলিকম

মেক-আ-থন বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মেক-আ-থন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং বেটার স্টোরিজের যৌথ আয়োজনে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য প্রযুক্তি অধিদপ্তর ও আরো ১৮ টি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হল মেক-আ-থন বাংলাদেশ ২০১৬। বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানই এর উদ্দেশ্যে। এই অনুষ্ঠান প্রকৌশল, কৃষি, ব্যবসা, ফ্যাশন টেকনোলজি ও ডিজাইনের শীর্ষ ১০০ জনকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে। মোট ৪০০ আবেদনপত্র থেকে মেক-আ-থনে শীর্ষ ১০০ জনকে বাছাই করা হয়েছে। তারপর তাদেরকে ৬৮ ঘণ্টাব্যাপী একটি দীর্ঘ কর্মপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রোটোটাইপ ( তাদের তৈরী যন্ত্রের প্রথম মডেল) তৈরী করতে বলা হয়। কাগজ ও থ্রিডি মাধ্যমে তারা ৩২ টি প্রটোটাইপ নির্মাণ করে। এই প্রোটোটাইপ গুলোতে বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়াও স্বাস্থ্যসেবা, যোগাযোগ, অবকাঠামো, কৃষি, বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, শক্তি উৎপাদন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা এবং নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন প্রভৃতি সমস্যার সমাধান খোঁজা হয়েছে। এই সবের মধ্যে সেরা দশটি প্রজেক্ট হলো, কিউসি প্রো, এইটি এমন প্রোটোটাইপ যার দিয়ে খাদ্যগুণ নির্ধারণ করা যাবে। এটি একটি কৃষি পণ্য। আলট্রাক্যান, যা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের চলতে ফিরতে সাহায্য করবে; ফ্লোবাডি, যা ডুবে যাওয়ার হাত থেকে সাঁতার না জানা শিশু বা বড়দের পরিধেয়; স্মার্ট কার্ড বেইসড পাবলিক সার্ভিসেস, যা গণ পরিবহনে সহায়তা করে; ইউএভি ফর হিউম্যানেটি ড্রোনটেকলজি চালানোর জন্য এরিয়াল সমাধান; ডব্লুবট, ওয়াটারবডির জন্য স্যানিটেশনের পদ্ধতি; স্মার্ট গ্যাস বার্নার, যা গ্যাসের অপচয় কমায়; হ্যাপিনেস ফর অল, এটি স্বল্পমূল্যের ড্রোন; ড্রাইভারস গো সেফ, ড্রাইভিঙে সহায়তা করে এমন একটি যন্ত্র, হেলথ এসিসটেন্স এন্ড হ্যারাসমেন্ট প্রিভেনশন, একটি পরিধানযোগ্য মেডিকেল সহায়তা দেয় এমন যন্ত্র। অন্য প্রজেক্টগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রোবো নার্স, যা মৌলিক স্বাস্থসুবিধা দিতে সক্ষম। ট্রাফিক আই, যা কম ভীড়যুক্ত রাস্তা বাছাই করে এবং গাড়ি চলতে সাহায্য করে। মাননীয় আইসিটি মন্ত্রীুনায়েদ আহমেদ পলক সমাপনী অনুষ্ঠানে বলেন, এ বছরের সেরা দশটি প্রোটোটাইপকে এর পরের বছর অবশ্যই নতুন প্রযুক্তি পণ্যতে পরিণত করতে হবে। নিঃসন্দেহে ইন্ডাস্ট্রি ও মার্কেট এর সাথে একাডেমিক রিসার্চের ব্রীজ তৈরী করার চমৎকার উদ্যোগ এটি। এই অনুষ্ঠানে ৩২ টির ভেতর থেকে সেরা দশটি প্রোটোটাইপকে সম্মানিত করা হয়। তাদেরকে ১ বছর বেটার স্টোরিজের ইনকিউবেশনে নতুন উদ্যোক্তা হিশেবে গড়ে তোলা হবে। যা তাদেরকে নেতৃত্ব এবং উন্নয়নে আরো বড় পদক্ষেপ রাখতে সাহায্য করবে। বেটার স্টোরিজের আগেও হ্যান্ডিমামা ও স্মার্টকম্পেয়ার এর মতো সফল গল্প তৈরিতে ভূমিকা রেখেছে। মূলত মেক-আ-থন ২০১৬ এই বিশ্বাস থেকে শুরু হয়েছিল যে বাংলাদেশি গবেষক, উদ্ভাবকগণ এখন নতুনভাবে কাজ করার জন্য একদম প্রস্তুত। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একাডেমিক ইনোভেশন ফান্ড এবং হেকাপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠার কথা ভাবা হচ্ছে।
স আইটি ডেস্ক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন