জেগে উঠেছে গ্রাম। গ্রামীণ জনপদে লেগেছে আনন্দের ছোঁয়া। প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার নানা গঞ্জনা, অভাব, অনটন, ভৌগোলিক দূরত্ব আর মানসিক অনৈক্যের বাতাবরণ ঝেড়ে ফেলে কুমিল্লার গ্রামগুলো আনন্দে উদ্বেল। স্বজনদের সম্মিলন সব প্রাপ্তির বেদনাকে ঘুচিয়ে দিয়ে ঈদ আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে আমাদের গ্রাম। ঈদের ছুটিতে গ্রামে শহরবাসী কারো কারো স্বল্পকালীন উপস্থিতি সংশ্লিষ্টের জীবনধারায় হয়তো এনে দেবে ভিন্ন দ্যোতনা। শৈশবের স্মৃতিঋদ্ধ জনপদ স্বল্পসময়ের জন্য হলেও এনে দেবে ভিন্ন আমেজ। এ প্রাপ্তিই আমাদের ঈদ আনন্দকে বর্ণিল করে তোলে কুমিল্লা মহনগরী রীতিমতো উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ঈদের মাত্র আর দু’ একদিন বাকি। দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে মানুষ নাড়ির টানে ফিরে আসছেন কুমিল্লায়। অনেকে কুমিল্লা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে ঈদ উৎসব উদযাপন করার জন্য। তবে কুমিল্লা ছেড়ে যাওয়ার চেয়ে ফিরে আসা মানুষের সংখ্যাই বেশি।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কুমিল্লামুখী বাস ও ট্রেনে এবং নিম্ন আয়ের শ্রমিক শ্রেণীর লোকজন ট্রাকের ওপর ঝুঁকি নিয়ে ফিরছে নিজ নিজ গন্তব্যে। অনেককে আবার প্রিয়জনের আগমনের খবর পেয়ে আগ বাড়িয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে। এ সময় অনেকেই আবার আসা প্রিয়জন কোনো বাসে এবং রাস্তায় কোন পর্যন্ত এসেছে তা জানার জন্য বারবার মোবাইলে যোগাযোগ করছে।
অনেক পরিবার রয়েছে যারা স্থায়ীভাবে ছেলেমেয়ে ও মা-বাবাকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করে। তারাও এ ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বিশেষ করে নানা বাড়ি বা দাদা বাড়িতে ছুটে আসছে পড়শী বা নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে ঈদ করতে। এ সময় তারা মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার ভাড়া করে একদিন বা দুদিনের জন্য ছুটে আসছে কুমিল্লার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে। একটু বেশি ছুটি পেয়ে যারা আরো তিন-চারদিন আগে কুমিল্লা এসেছে তারা তাদের বন্ধু-বান্ধব ও বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কেউবা বুক মিলিয়ে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা বিনিময় করছে।
এছাড়াও শহরের বিভিন্ন আড্ডার পয়েন্টে বেড়েছে বন্ধুদের ভিড়। কোথাও গোল হয়ে আবার কোথাও বা একসঙ্গে দাঁড়িয়ে আড্ডা চলছে শহরের টাহন হলের মাঠে, ভিক্টোরিয়া কলেজের সামনে, জিলা স্কুলের মাঠে, মসজিদের সামনে এ রকম আরো অনেক জায়গায়। সেসব জায়গায় পরিকল্পনা চলছে ঈদের দিনে কিভাবে কি করা যায়। ঈদের লম্বা ছুটি নিয়ে আসা অনেক তরুণ-তরুণীর সঙ্গীহীন জীবনেও সঙ্গী জুটে যায় এ ঈদকে উপলক্ষ করে। অর্থাৎ অনেক অভিভাবক তাদের ছেলে মেয়েদের বিয়ের কাজটাও সেরে ফেলেন এ ঈদের ছুটিতে।
বিয়ে না হলেও অন্তত পাত্র-পাত্রী দেখার কাজটা সেরে ফেলা যায় ঈদের ছুটিতে। সবমিলিয়ে ঈদের ছুটিতে কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষের জীবনে বয়ে আনে বাঁধভাঙা আনন্দের অনুভূতি। এদিকে শহর ও গ্রামের মুদি দোকানগুলোতে বাড়তি জায়গা নিয়ে বসানো হয়েছে ঈদের স্পেশাল বাজারের নানা ব্রান্ডের সেমাই, গরম মসলাসহ রকমারি সামগ্রী। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি ছোট্ট শহরে মানুষের আনাগোনা। পরিচিত মুখের সঙ্গে কুশল বিনিময় আর জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা বিনিময় চলছে। সব মিলিয়ে কুমিল্লার চারিদিকে বইছে ঈদের আমেজ।
ঢাকাস্থ সেনবাগ পেশাজীবী
পরিষদের কমিটি গঠন
হাসান মঞ্জুরকে সভাপতি ও জাহের মাহমুদ জহিরকে সেক্রেটারি করে ঢাকাস্থ সেনবাগ পেশাজীবী পরিষদের ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টায় ঢাকার পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে পরিষদের সহ-সভাপতি ইউনুস পাটোয়ারী বাচ্চুর সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে যথাক্রমে হাসান মঞ্জুরকে সভাপতি এবং জাহির মাহমুদ জহিরকে সেক্রেটারি করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে কমিটির উপদেষ্টাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন