শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লাকী আখন্দকে নিয়ে গুগলের ডুডল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০১৯, ৫:৪৯ পিএম

প্রখ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী লাকী আখন্দের ৬৩তম জন্মদিন শুক্রবার। আর এ উপলক্ষে একটি বিশেষ ডুডল প্রকাশ করেছিল গুগল। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে গুগলে প্রবেশ করলেই ডুডলটি চোখে পড়েছে।
ডুডলে দেখা যায়, অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা লাকী আখন্দ গিটার হাতে গান গাইছেন। মাথায় তার বিখ্যাত ক্যাপ। একই সঙ্গে গুগল লেখাটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রঙ্গিন রঙে। আর শিল্পীর ছবির দুই পাশে ছড়িয়ে আছে শাপলা ফুল। গুগল তাদের ডুডল পাতায় লাকী আখন্দের জীবন-সম্পর্কিত কিছু তথ্যও তুলে ধরেছে। আর ডুডলের ওপর ক্লিক করলে লাকী আখন্দ-সংক্রান্ত তথ্য পাতায় নিয়ে যাচ্ছে।
একাধারে গায়ক, সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দ ১৯৫৬ সালের ৭ জুন জন্ম নেন। ৫ বছর বয়সেই তিনি তার বাবার কাছ থেকে সংগীত বিষয়ে হাতেখড়ি নেন। তিনি ১৯৬৩-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশুশিল্পী হিসেবে সংগীতবিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে লাকি আখন্দের প্রথম একক অ্যালবাম ‘লাকি আখন্দ’ প্রকাশ পায়।
লাকী আখন্দের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে, ‘এই নীল মনিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘মামনিয়া’, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’, ‘লিখতে পারি না কোনোও গান’, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ প্রভৃতি। তিনি বাংলাদেশি জাতীয় রেডিও নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ বেতার এর সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৬৯ সালে লাকী আখান্দ পাকিস্তানী আর্ট কাউন্সিল হতে ‘বাংলা আধুনিক গান’ বিভাগে পদক লাভ করেন।
গুণী এই সংগীতজ্ঞ ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হলে ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা নিতে যান। ব্যাংককে ছয় মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার একটু উন্নতি হলে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশে এনে তাকে ভর্তি করানো হয় বিএসএমএমইউতে। পরে একটু সুস্থ হলে বাসায় চলে যান। ওই বছরের ২১ এপ্রিল শিল্পীর শারীরিক অবস্থা আরও গুরুতর হলে আরমানিটোলার বাসা থেকে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন ব্যক্তিকে স্মরণ ও বিভিন্ন জাতির বিশেষ দিন উপলক্ষে গুগল ডুডল প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন দিবস ও ব্যক্তির স্মরণে গুগল এখন নিয়মিত নানা ডুডল প্রকাশ করছে। এরই অংশ হিসেবে শিল্পীর প্রতি তাদের এই সম্মান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন