বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে ঈদ উৎসব বিরাজ করছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও নগরী ও জেলার প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্র ও পার্কে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে নানা বয়সী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বিনোদন কেন্দ্রে এসেছে।
আনন্দে ভাসছে নগরীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। ফয়’স লেক হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। দর্শনার্থীদের মধ্যে কিশোর, তরুণ-তরুণী, শিশুদের সংখ্যা বেশি। অনেক মা-বাবা সন্তানদের সাথে নিয়ে এসেছেন। সী ওয়ার্ল্ডে পানিভিত্তিক রাইডগুলোতে ভিড় বেশি। এতে দর্শনার্থীদের আগ্রহ বেশি।
পরিবার নিয়ে যারা এসেছেন তাদের আগ্রহও সী ওয়ার্ল্ডের দিকে। কিশোর-তরুণরা জলকেলিতে মেতে উঠেছেন। ওয়েবপুল, ফ্যামিলিপুল, মাল্টিসøাইড, ড্যান্সিং জোন লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। মহানগরীর বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও পর্যটকরা আসছেন। ফয়’স লেকের চিড়িয়াখানায়ও দর্শনার্থীদের ভিড়। ছেলে-বুড়ো সব বয়সের মানুষ ভিড় করছেন পশু-পাখির খাঁচার সামনে। ঈদের দিন বিকেল থেকে মানুষের ভিড় লেগেছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতেও। প্রতিবছরই নেভাল একাডেমির আশপাশ এবং পতেঙ্গাকে ঘিরে ঈদের ছুটিতে জনসমাগম বেশি। তবে এবার ঈদের দিন থেকে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে সমুদ্র সৈকতে। তবে নেভাল একাডেমির চেয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ভিড় বেশি। এবার সৈকতের পাশ দিয়ে নির্মাণাধীন আউটার রিং রোডের কারণে মানুষ সেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরছে।
দর্শনার্থীরা ঘুরে ফিরে হেঁটে, সেলফি তুলে সময় পার করছেন। সৈকতে অস্থায়ী রেস্টুরেন্টে চলছে দেদারসে বিক্রি। নগরীর বিনোদন কেন্দ্রের মধ্যে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, কাজির দেউড়ি শিশু পার্ক, স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিয়া স্মৃতি যাদুঘর, শিশু পার্ক, আগ্রাবাদ প্রতœতাত্তি¡ক যাদুঘর, নেভাল এভিনিউ মেরিটাইম মিউজিয়াম, ওয়ার সেমিট্রি, ডিসি হিল। এছাড়া দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীতে নতুনভাবে নির্মিত আগ্রাবাদ জাম্বুরি পার্ক, পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্ক, আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, সিআরবি, কর্ণফুলী সেতু, অভয়মিত্রঘাট, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্কসহ চিরচেনা স্পটগুলো এখন দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর।
নগরীর শিশুপার্ক গুলোতেও উপচেপড়া ভিড়। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে ভিড় করছেন পার্কে। আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্কে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের ভিড়। এখানে রয়েছে চুকচুক গাড়ি, ভয়েজার বোট, ক্যাবল ট্রেন, দোলনা ও অন্যান্য সামগ্রী। এছাড়া সীতাকুÐ চন্দ্রনাথ মন্দির ও ইকোপার্ক, রাউজানের রাবার বাগান, মীরসরাইয়ের মুহুরী প্রজেক্টসহ বিভিন্ন বিনোদন স্পটে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্যণীয়। আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকত, সীতাকুন্ড ইকোপার্ক ও মিরসরাইয়ের মহামায়া লেক, ভাটিয়ারি পাহাড় পার্ক, সীতাকুÐের বেড়িবাঁধের পাশে সমুদ্র সৈকত, বাঁশখালী ইকোপার্ক ও সমুদ্র সৈকত, রাঙ্গুনিয়া এভিয়ারি পার্ক, আনোয়ারা মোহছেন আউলিয়া কলেজের পাশে বেসরকারিভাবে গড়ে উঠা হিলটপ পার্কসহ জেলার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন বিনোদন স্পটে এখন দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড়। ঈদ শেষ হলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলো আরও বেশ কয়েকদিন সরগরম থাকবে বিনোদন পিয়াসীদের পদচারণায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন