পাবনায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মাহমুদা আক্তার (৩০) ১৭ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে হেরে গেছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় শুক্রবার তিনি মারা যান।
জানা গেছে, যৌতুক দাবিতে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ২১ মে হাসপাতালে ভর্তি হন মাহমুদা আক্তার ।
নিহত গৃহবধূ পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার দড়িসারদিয়ার গ্রামের আব্দুল মমিন মন্ডলের কন্যা এবং একই থানার রাজাইমন্ডল গ্রামের পল্লী চিকিৎসক পিন্টু প্রামানিকের স্ত্রী ।
নিহতের মামা মজনু হোসেন জানান, ১০ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাঁর ভাগ্নির বিয়ে হয় একই গ্রামের চকির প্রামানিকের পুত্র পিন্টু প্রামানিকের সাথে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে তাকে স্বামী পিন্টু ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল। গত ২১ মে রাতে এক লাখ টাকা দাবি করে। তাঁর ভাগ্নি পক্ষে পিতার বাড়ি থেকে টাকা আনা সম্ভব নয় জানালে তার স্বামী পিন্টু ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে, মাহমুদা আক্তার মিমের স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। অবশেষে ১৭ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে শুক্রবার এই গৃহবধূ মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মেহেদী হাসান বাদি হয়ে স্বামী পিন্টুসহ ৬ জনকে আসামি করে আতাইকুলা থানায় মামলা করেছেন। আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান শনিবার জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন