কোর্ট রিপোর্টার : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলামের রিমান্ড শুনানির সময় ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ করে বলেন, মামলার রিমান্ডের বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন। আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না যাতে আমাদের সবাইকে হাইকোর্টে বিচারের জন্য দাঁড়াতে হয়। আসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম সাব্বির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে আসলামকে গুলশান থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুল হক। আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর এ মামলায় দশ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য আসলামকে ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেনের আদালতে হাজির করে পুলিশ।
শুনানির সময় আসলামের আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতকে বলেন, আসলাম চৌধুরীকে নতুন মামলায় রিমান্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হাইকোর্টের বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি রিমান্ড আবেদন স্থগিত রাখার আবেদন জানান।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আসলামকে ৫৪ ধারায় রিমান্ডে নেওয়া যাবে না হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। কিন্তু অন্য মামলার বিষয় কিছুই বলেননি। তাই এ মামলায় রিমান্ড শুনানি করা যেতে পারে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মারুফ হোসেন বলেন, মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন। আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না যাতে আমাদের সবাইকে হাইকোর্টে দাঁড়াতে হয়। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
এরপর লালবাগ থানার নাশকতার মামলায় আসলামকে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজাহারুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে দশ দিনের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসলামের আইনজীবীরা একই বিষয় বিচারককে বলেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য ৬ জুন দিন ধার্য করেন।
এরপর মতিঝিল থানার নাশকতার মামলায় আসলামকে ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে দশ দিনের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসলামের আইনজীবীরা একই বিষয় বিচারককে বলেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য ৬ জুন দিন ধার্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন