প্রায় তিন মাস আগে বগুড়ার ধুনট উপজেলার শেখ রাসেল স্মৃতি সংঘের সোলার প্যানেল চুরি হয়ে যায়। সে সময় রুবেল নামে এক ছেলেকে চুরির জন্য দায়ী করে ক্লাবের সদস্য আল আমিনসহ বেশ কয়েকজন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। এরই জেরে গতকাল সোমবার আল আমিনের নেতৃত্বে প্রায় ১৫ জন মিলে রুবেলকে মারধর করতে থাকে।
সোমবার সকালে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের কৈগাড়ি গ্রামে নির্মম এ ঘটনা ঘটে।
এতে বাঁধা দেয় রুবেলের মা-বাবা ও ভাইসহ স্বজনরা। আর তখনই আল আমিনের দল রুবেলসহ মোট ছয়জনকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে। সে সময় আল আমিনের ধারালো অস্ত্রের কোপে রুবেলের মা সাহেনা বেগমের (৫০) কনুই থেকে বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে কাটা হাত পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে চলে যায় তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুকুর থেকে হাতের সেই কাটা অংশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাহেনা বেগম ছাড়াও তার স্বামী কফিল উদ্দিন (৬০), ছেলে রুবেল (২৪), নুরুন্নবী (৩০), একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী তফুরা বেগম (২৮) ও ফটিক মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৪০) আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার দিনগত রাত ১০ টার দিকে ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, এ ঘটনায় আহত সাহেনা বেগম বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যরা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে সে এলাকা শান্ত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) গাজিউর রহমানসহ তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সাহেনা বেগমের বিচ্ছিন্ন হাত পাশের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। সঙ্গে দেশীয় অস্ত্রও জব্দ করা হয়। এছাড়া এ ঘটনার মূলহোতা আল আমিনসহ বিল্পব ও রনি খাতুন নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বিলম্বের কারণ সম্পর্কে ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, আহত ব্যক্তিদের নিয়ে চিকিৎসায় পরিবারের সবাই ব্যস্ত। একজনের হাত কাটা গেছে। অন্যরাও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরপরও রাতেই মামলা দায়েরের কাজ সম্পন্ন করা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন ওসি ইসমাইল হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন