শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কর্মস্থলে ফিরতে ভোগান্তি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অব্যাহত

চাটখিল (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৯, ১১:৩৫ পিএম

নোয়াখালী জেলার চাটখিল থেকে পবিত্র ঈদ উল ফিতর-এ বাড়িতে আসা লোকজন কর্মস্থলে ফিরতে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। তাছাড়া ঈদ ১ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও বাসের টিকিট বিক্রিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অব্যাহত রয়েছে। এসব টিকিটে শুধুমাত্র বাস ছাড়ার সময় তারিখ, সিট নং ও টাকার পরিমান লেখা থাকলেও যাত্রীদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল লেখা হচ্ছে না। স্থানীয়ভাবে এখানে এগুলো দেখার কেউ নেই। এতে করে লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, চাটখিলের ১টি পৌরসভা ও ৯ ইউনিয়নে এবারের ঈদ উল ফিতর পরিবারের লোকজনের সাথে উদযাপনের জন্য ২৫ সহ¯্রাধিক লোকজন এলাকায় এসেছে। ঈদে টানা ছুটির কারণে সরকারি, স্বায়িত্ব শাসিত, বেসরকারি এবং প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরিজীবী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন তাদের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে এসেছেন। ঈদের ৩ দিন পর অর্থাৎ শনিবার থেকে এরা কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। চাটখিল থেকে ঢাকায় হিমালয় এক্সপ্রেস ও আল-বারাকা এক্সুসিভ সার্ভিস কাউন্টারে ভোর রাত থেকে রাত্র পর্যন্ত যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকে। চাটখিল থেকে ঢাকার ভাড়া ৩৫০ টাকা থাকলেও এখন প্রত্যেক টিকিটে আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। তাছাড়া চাটখিল থেকে চট্টগ্রামে বলাকা ও নীলাচল এক্সপ্রেস এর ভাড়া ৩০০ টাকার স্থলে এখন আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। কাউন্টারগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে যাত্রীদের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে। যাত্রীগণ কাউন্টারের লোকজনের কাছে হেনস্থাও হচ্ছেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে যাত্রীগণ জানতে চাইলে তাদেরকে টিকিট দেওয়া হয় না। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় পারলে তাদের বিরুদ্ধে কিছু করেন। এখানে যাত্রীগণ কাউন্টারের লোকজনের কাছে জিম্মি।
ঢাকায় যেতে স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে হিমালয় কাউন্টারে আসা মোহাম্মদপুরের আনোয়ার হোসেন, কড়িহাটির সওকত আলী, নোয়াখলার সিরাজুল ইসলাম, আল-বারাকা কাউন্টারে সোমপাড়ার আবদুল হাই জানান, তারা সকাল ৯ টায় কাউন্টারে এসেছেন। এখন দুপুরে ১২ টা বাজলেও গাড়ির টিকিট পাননি। তাছাড়া তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগও করেছেন।
এ বছর সরকার ঈদ আনন্দ সাচ্ছন্দে পালনের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও এখানে এর ব্যতিক্রম। বাস কাউন্টারের লোকজনের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা কোন জবাব দেননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সহ অন্যান্য বিষয়ে তিনি শীগ্রই ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন