চরফ্যাশনের নুরাবাদ ইউপি‘র চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক দুলার হাট থানা জামে মসজিদের ব্যবহৃত পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণের চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ী ও মসজিদের মসুল্লিগন। এ নিয়ে রবিবার দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ও সহকারী কমিশনার ভূমি আশিস কুমার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দুলারহাট তহসীর অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সূত্রে জানা গেছে, চরতোফাজ্জল মৌজার মধ্যে দুলারহাট জামে মসজিদটি এস এ ১৪৪খতিয়ানে। তার মধ্যে ৬৭৪০ দাগে ২ শতক ও ৭৫৫ দাগে পুকুরপাড় ২৫শতক, ৭৫৬ দাগে পুকুর ৩১ শতক। মোট ৫৬ শতক জমি রয়েছে। ১৯৫১সালে ২০ ধারায় এ জমি সরকারের খাস খতিয়ানের অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, দুলার হাটের ব্যবসায়ী ও মুসল্লিদের জন্য খুবই প্রয়োজন পুকুরটি। মসজিদের ব্যবহৃত সরকারি খাস খতিয়ানের ওই পুকুরটি ভরাট করে মসজিদের নামে পজেশন বিক্রি করে নুরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান অনৈতিক সুবিদা গ্রহণ করবেন।
দুলারহাট বাজার ব্যবসায়ীরা মফিজুল ইসলাম জানান, মসজিদের ব্যবহৃত পুকুরটি ছাড়া বাজারের আশে-পাশে কোন পানি নাই। বাজারে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হলে ওই পুকুরটি একমাত্র ভরসা। তাই পুকুরটি রক্ষা প্রয়োজন।
নুরাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান দাবী করেন, মসজিদের নামাজ পড়া জায়গা সংকট। মসজিদের সামনের পুকুরটি ভরাট করে পজেশন বিক্রি করে মসজিদের আয় করা হবে।
চরফ্যাশন সহকারী কমিশনার ভূমি আশিস কুমার বলেন, মসজিদের সামনের পুকুরটি সরকারের খাস খতিয়ানে রয়েছে। ভরাটের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিন্ধান্ত দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন