শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মির্জাপুরে তিনদিনব্যাপি জেলা ইজতেমা বন্ধ করে দিল প্রশাসন

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৯, ৩:০০ পিএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাওলানা সা’দ পন্থীদের উদ্যোগে শুরু হতে যাওয়া তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। পূর্বানুমতি না নেয়ার অভিযোগে এই ইজতেমা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে উপজেলা সদরের কুতুব বাজার সংলগ্ন মাঠে দিল্লী নিজাম উদ্দিন বিশ্ব মারকাসের অনুসারী মাওলানা সা’দ কান্দলভী বিশ্ব আমির অনুসারীরা তিন দিনব্যাপী ইজতেমার আয়োজন করেন। গতকাল বুধবার থেকে এই ইজতেমায় দেশ এবং বিদেশের তাবলীগ জামাতের সদস্যরা আসতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে বয়ানের মাধ্যমে জামাতের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়া কথা
এদিকে স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও তাবলীগের সাথীর ব্যানারে অপর একটি পক্ষ গত কয়েক দিন ধরে এই ইজতেমা বন্ধের জন্য সভা-সমাবেশ করা ছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের লিখিত অভিযোগ দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ইজতেমা মাঠে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া ইজতেমার জন্য নির্মিত প্যান্ডেলের বাঁশ, খুটি ও তাবু পুলিশ উপস্থিতিতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এসময় সেখানে টাঙ্গাইলের অতিরক্তি পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক, জেলা প্রশাসন অফিসের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাঈনুল হক, সহকারী পুলিশ সুপার মির্জাপুর সার্কেল দীপঙ্কর ঘোষ, মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে ইজতেমা মাঠে অবস্থান নেয়া তাবলীগ জামাতের সদস্যদের সরিয়ে দিলে তারা পাশ্ববর্তী কাণ্ঠালিয়া মাদরাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে তাবু টানিয়ে অবস্থান নেয়।
তাবলীগ জামাতের সদস্য আব্দুর রহমান শামীম ও মো. রাসেলসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জনান মির্জাপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মো. একাব্বর হোসেন গত রবিবার তাদের এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় ইসলামের দাওয়াতের কাজে আয়োজিত ইজতেমায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিকভাবে সহায়তা করা হয়ে থাকে। কিন্ত মির্জাপুরে ইজতেমা করতে না দেয়ার কারণ আমাদের বোধগম্য নয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মালেক বলেন, আয়োজকগণ পুর্বানুমতি না নিয়ে ইজতেমা আয়োজন করেছিল। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Billal Hosen ১৩ জুন, ২০১৯, ৩:৪৪ পিএম says : 0
যে ভালো কাজে বাধা দেয় , সে সীমালংঘন করলো , সে পাপিষ্ঠ। ( সূরা আল - কলম - আয়াত -১২)
Total Reply(0)
sad saheb sothik bolechen,sad ponthi onek alem olama achen.kintu namdhari ki alem peter jonno sad saheber biruddhe legeche.
Total Reply(0)
Md Aminul Islam. ১৪ জুন, ২০১৯, ১২:২৬ এএম says : 0
jodi Allahr sothik poth aita hoy ar tate jodi keu badha dey.. se jahannme jabe.. Allah duniyate e take sasthi deoa suru korbe.. Allah sobik hedayet dao buj dao..
Total Reply(0)
نور محمد ১৪ জুন, ২০১৯, ৬:১৭ পিএম says : 0
اللهم هدانا
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন