শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন বাংলাদেশের পাশে আছে

কক্সবাজারে চীনা রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু

বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৯, ১২:৩২ এএম

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জু বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সুষ্ঠু পরিবেশে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে ইতিবাচক ভ‚মিকা রাখবে তার দেশ। এ ক্ষেত্রে চীন বাংলাদেশের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে জানান তিনি। তবে রোহিঙ্গারা চীনা রাষ্ট্রদূতকে জানান, তাদের মৌলিক দাবিগুলো পুরণ হলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়।

গত বুধবার বেলা ১১টায় কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। দুই দিনের সফরে ঝ্যাং জু গত মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে এসে তিনি একথা বলেন।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি কক্সবাজার এসেছেন রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে। গত মঙ্গলবার বিকেলে তিনি উখিয়ার কুতুপালং ৫-ডি শিবির পরিদর্শন করেছেন। বৈঠকে তিনি পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত কক্সবাজার এসেছেন রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন বাংলাদেশের পক্ষে আছে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যকর করতে চীনের ভ‚মিকা ইতিবাচক বলে তিনি জানান।

চীনা রাষ্ট্রদূত রামুর ঐতিহ্যবাহী রাংকোর্ট বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। এই বিহারে তিন ঘণ্টা অবস্থান করেন। এ সময় তিনি বিহার পরিদর্শনের পাশাপাশি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। তিনি বিহারের সংস্কার কাজে চীনা সরকারের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।

গত মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে চীনা রাষ্ট্রদূত উখিয়ার কুতুপালং ৫-ডি শিবিরে গিয়ে কিছু রোহিঙ্গার সঙ্গে কথা বলেন। মিয়ানমারে ফিরে যেতে রাজি কিনা চীনা রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে রোহিঙ্গারা বলেন, তারা যে কোনো মুহূর্তে রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাদের উচ্ছেদ করা বসতভিটা ফিরিয়ে দিতে হবে। সেখানে (রাখাইনে) স্বাধীনভাবে চলাফেরার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু মিয়ানমার তাতে রাজি না হলে, কিংম্বা দাবিপূরণ না হলে তারা ফিরে যাবে না। এ ক্ষেত্রে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীন সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন রোহিঙ্গারা।

কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূত দুই দিনের সফরে গত মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার এসেছেনে। প্রথম দিন তিনি উখিয়ার ৫-ডি রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। বুধবার সকালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে রামু বৌদ্ধপল্লি পরিদর্শন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় ফিরে যান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন