মির্জাপুরে মাওলানা সা’দ পন্থীদের উদ্যোগে শুরু হতে যাওয়া তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। পূর্বানুমতি না নেয়ার অভিযোগে ইজতেমা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর থেকে উপজেলা সদরে কুতুব বাজার সংলগ্ন মাঠে দিল্লী নিজাম উদ্দিন বিশ্ব মারকাসের অনুসারি মাওলানা সা’দ কান্দলভী বিশ্ব আমির অনুসারিরা তিন দিনব্যাপী ইজতেমার আয়োজন করেন। গত বুধবার থেকে ইজতেমায় দেশ এবং বিদেশের তাবলীগ জামাতের সদস্যরা আসতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার ফজর নামাজের পর থেকে বয়ানের মাধ্যমে জামাতের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা।
এদিকে স্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও তাবলীগের সাথীর ব্যানারে অপর একটি পক্ষ গত কয়েক দিন ধরে এই ইজতেমা বন্ধের জন্য সভা-সমাবেশ করা ছাড়াও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ইজতেমা মাঠে অবস্থান নিয়েছে। এছাড়া ইজতেমার জন্য নির্মিত প্যান্ডেলের বাঁশ, খুটি ও তাঁবু পুলিশের উপস্থিতিতে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সেখানে টাঙ্গাইলের অতিরক্তি পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মালেক, জেলা প্রশাসন অফিসের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাঈনুল হক, সহকারি পুলিশ সুপার মির্জাপুর সার্কেল দীপঙ্কর ঘোষ, মির্জাপুর থানা ওসি এ কে এম মিজানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে ইজতেমা মাঠে অবস্থান নেয়া তাবলীগ জামাতের সদস্যদের সরিয়ে দিলে তারা পার্শ¦বর্তী কাণ্ঠালিয়া মাদরাসা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে তাবু টানিয়ে অবস্থান নেয়।
তাবলীগ জামাতের সদস্য আব্দুর রহমান শামীম ও মো. রাসেলসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জনান, মির্জাপুরে স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. একাব্বর হোসেন গত রোববার তাদের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় ইসলামের দাওয়াতের কাজে আয়োজিত ইজতেমায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সার্বিকভাবে সহায়তা করা হয়ে থাকে। কিন্তু মির্জাপুরে ইজতেমা করতে না দেয়ার কারণ আমাদের বোধগম্য নয়।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল মালেক বলেন, আয়োজকগণ পুর্বানুমতি না নিয়ে ইজতেমা আয়োজন করেছিল। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন