এবার চট্টলা এক্সপ্রেসে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অর্ধশত যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় বাধা দিলে কুপিয়ে যখম করে ১২ জন যাত্রীকে।
ডাকাতির ঘটনাটি ফেনীতে ঘটলেও ডাকাতের কবলে পড়া ট্রেনটি সীতাকুণ্ড আসার পর আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়। সীতাকুণ্ড থানার ওসি (ইন্টিলিজেন্স) সুমন বণিক জানিয়েছেন, গত বুধবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ফেনীতে যাত্রা বিরতি করে। উক্ত স্টেশনে যাত্রীদের খুবই ভিড় থাকায় ট্রেনের ছাদেও প্রচুর যাত্রী উঠে। পরে ট্রেনটি ফেনী স্টেশন অতিক্রম করার পর যাত্রীবেশে থাকা ডাকাত দল যাত্রীর কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে সর্বস্ব লুটে নেয়।
এসময় যাত্রীরা ডাকাতদের বাধা দিলে এলোপাথারী কুপিয়ে ১২জন যাত্রীকে মারাত্মক যখম করে। পরে ডাকাত দল ট্রেন থেকে সীতাকুণ্ড আসার আগেই কোনো এক স্থানে নেমে পড়ে। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. দেলওয়ার হোসেন, ওসি (ইন্টিলিজেন্স) সুমন বণিকসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ড স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে আহত ১২জন যাত্রীকে উদ্ধার করেন এবং তাদের চিকিৎসা দেন। আহতরা হলেন, মো. রুবেল, লিটন মিয়া, জলিল, মো. মফিছ, মো. আসিফ, স্বপন চন্দ্র দাশ, রঞ্জন চন্দ্র দাশ, মো. বাপ্পি, নাহিদ, মো. মনির হোসেনসহ ১২জন আহত হন।
এদিকে সীতাকুণ্ড রেলওয়ে জি.আর.পি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মো. আকবর হোসেন জানান, এ ঘটনায় লাকসাম রেলওয়ে জি.আর.পি থানায় মামলা হয়েছে। সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মতিলাল বড়–য়া বলেন, ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে এদিন দুপুর একটায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে চট্টলা এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ফেনীতে যাত্রা বিরতির পর ফেনী অতিক্রম করার পর ট্রেনটি ডাকাতের কবলে পড়ে।
সীতাকুণ্ডে আসার পর আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে চমেকে পাঠানো হয়েছে। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মো. দেলওয়ার হোসেন বলেন, ট্রেনটি সীতাকুণ্ড আসার পর আমরা খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেসব থানায় ঘটনাটি জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তাদের কাছ থেকে ঘটনার বর্ণনা জানতে পেরেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন