নগরীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ১৮ মামলার আসামি এক ছিনতাইকারী আহত হয়েছে। এ সময় অক্ষত অবস্থায় আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর খুলশী থানার আমবাগান রেলওয়ে জাদুঘর এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। সেখান থেকে বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
আহত মোহাম্মদ ইয়াসিন (৩০) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খিরাইকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার মো. ফরিদুল ইসলাম (১৮) একই জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার শিদলাই মোল্লাবাড়ির মৃত মো. হোসেনের ছেলে। দু’জনই নগরীর লালখান বাজারের ঢেবারপাড় বস্তির বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী।
তিনি বলেন, গত ১১ জুন ভোর পৌনে ৫টায় নগরীর গরীবুল্লাহ শাহ মাজারের পাশে একটি নির্জন স্থানে অনলাইন লিমিটেড কোম্পানির কর্মচারি মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিন বাবু ছিনতাইয়ের শিকার হন। বাসে করে ঢাকা থেকে এসে গরীবউল্লাহ শাহ মাজারের পাশে নামার পর ৪ জন ছিনতাইকারী অস্ত্রের মুখে তার কাছ থেকে নগদ ১৩ হাজার টাকা, মোবাইল ও একটি এলইডি টিভি নিয়ে যায়।
এই ঘটনার পর ১২ জুন রাতে ছিনতাইয়ে জড়িত মোহাম্মদ ওমর ফারুক (২৫) এবং বাবুল হোসেনকে (২০) গ্রেফতার করা হয়। তারাও নগরীর ঢেবারপাড় বস্তির বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দু’জন আদালতে জবানবন্দি দিয়ে জানায়, ইয়াসিন এই ছিনতাইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিল। রাত সাড়ে ১১ টায় ইয়াসিনকে ঢেবারপাড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে রেলওয়ে জাদুঘর এলাকায় একটি ঘরে ছিনতাই করা মালামাল রেখছে বলে জানায়।
পুলিশের দাবি, ইয়াসিনকে নিয়ে রাত সাড়ে ১২ টায় ছিনতাই করা মালামাল উদ্ধারে গেলে পুলিশের উপর ইয়াসিনের সহযোগীরা গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ইয়াসিন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। পালানোর সময় ফরিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। আহত ইয়াসিনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, দুই রাউন্ড কার্তুজ, চারটি চাকু এবং ছিনতাই করা নগদ ১২ হাজার টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি জানান, ইয়াসিনের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ১৮টি এবং ফরিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২টি মামলা আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন