বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মেডিকেল অফিসার নিয়োগে ৮টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করেছেন সেখানে কর্মরত শিক্ষক ও চিকিৎসকরা। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলসহ সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে সেটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসব কথা বলেন। এ দাবিতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। তবে এ কর্মসূচি পালনে রোগীদের হয়রানি ও ক্লাস বর্জন করা হবে না বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ’র সহকারী প্রোক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব হেলাল, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পাল, কার্ডিলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারর্দার টিটুসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মেডিকেল অফিসার, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএস) বিভিন্ন স্তরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা বলেন, সম্প্রতি বিএসএমএমইউতে ২০০ মেডিকেল অফিসার নিয়োগে সুনির্দিষ্টভাবে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্তে যে কমিটি করা হয়েছে, সেই কমিটি প্রদত্ব প্রতিবেদন প্রকাশ করেত হবে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে কোনও মৌখিক পরীক্ষা নেয়া যাবে না। যদি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আবার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ শুরু করা হয়ে তাহলে ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলন শুরু করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শিক্ষকরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র আস্থার জায়গা রাখেননি। মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় নজীরবিহীন অনিয়ম হয়েছে। সে বিষয়ে ভিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিত জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন তাদের স্বার্থ চরিতার্থে এবং স্বজনদের অবৈধভাবে নিয়োগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করছেন। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই পরীক্ষা স্থগিত করা না হলে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলরে পাশপাশি একদফা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সেই এক দফা আন্দোলন হবে ভিসি’র পদত্যাগের দাবিতে এবং তখন তিনি পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্বজনপ্রীতি করে ভিসি’র সন্তান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের জামাতা, ভিসি’র ব্যক্তিগত সহকারী-২ এর সহধর্মিণীসহ অনেককেই পরীক্ষায় পাশ করানো হয়েছে প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরীক্ষার পূর্বেই প্রশ্নপত্রের ট্রাংক খোলার বিষয়টি স্বয়ং ভিসি স্বীকার করেছেন। তারা বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় নানা ধরনের অভিযোগ ওঠার বিষয়টি ভিসিকে তদন্ত করার অনুরোধ করলেও তিনি পরীক্ষা চালিয়ে যান। এমনকি এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে গত ১১ জুন উল্টো পুলিশ ও আনসার দিয়ে শিক্ষক ও মেডিকেল অফিসারদের লাঞ্ছিত করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন