জঙ্গি হুমকি থেকে রক্ষা পেতে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ-২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল থেকে শুরু হয়ে ২১ জুন পর্যন্ত পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের ৩০২টি বিটের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের এ তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
কমিশনার বলেন, সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিআইএমএস) মাধ্যমে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করার কারণে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ ও নাগরিকদের মধ্যে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর কারণে অপরাধীরা আবার চেষ্টা করছে নগরীতে আস্তানা গাড়তে। যার কারণে এটা আবার শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে অনেকে নাগরিক তথ্য দিতে গরিমসি করছে। নাগরিক তথ্য সংগ্রহ শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা আবারও নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু করছি। আপনার তথ্য পুলিশের কাছে জমা দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করুন, নিজে নিরাপদ থাকুন, নগরবাসীকে নিরাপদ রাখুন। পুলিশ ও নাগরিকদের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টেকসই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবো।
তিনি বলেন, শনিবার থেকে ২১ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর পরবর্তী সাতদিন ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে গঠিত সার্ভিলেন্স টিম র্যানডম সিলেকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন বাসায় তথ্য সংগ্রহের সত্যতা যাচাই করে দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে বিভিন্ন সংস্থার করা তালিকা সঠিক নয়। এসব তালিকা আমরা যাচাই করে দেখেছি। কিন্তু তালিকা সঠিক নয়। তিনি বলেন, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের বিষয়গুলো দেখে থাকে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও এ ব্যাপারে কাজ করছে। সরকারের উচ্চ মহলও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক।
এদিকে, এ বছর ১৩ জুন পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় সিআইএমএস এ এন্ট্রির জন্য সংগৃহীত ফরমের সংখ্যা ২১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৭টি। এর মধ্যে এন্ট্রি করা হয়েছে ২১ লাখ ৮১ হাজার ১২৯টি। পুলিশের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, মহানগরীতে বাড়িওয়ালার সংখ্যা দুই লাখ ৪১ হাজার ৫০৭টি। ভাড়াটিয়ার সংখ্যা ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪টি। মেস সদস্য রয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৪০ জন। অন্যান্য রয়েছে আরও এক হাজার ১০০ জন। পরিবারের সদস্য সংখ্যা রয়েছে ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন। ড্রাইভার ও গৃহকর্মী রয়েছে ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন