গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় লুডু খেলা নিয়ে সংঘর্ষে থানায় পৃথক দুটি মামলা হওয়ায় গ্রেফতারের ভয়ে প্রায় অর্ধশত পরিবারে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এসব পরিবারের মহিলা ও শিশুরা অজানা আশঙ্কার মধ্যে দিয়ে সময় পার করছে।
অপরদিকে উভয় পক্ষের আসামীরা জামিনে এসে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গতকাল শনিবার সরেজমিনে উপজেলার হিরন ইউনিয়নের লোহারংক গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
জানাগেছে, গত শনিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার লোহারংক গ্রামের আলামীন শেখের ছেলে মোরছালিন শেখ (২০) ও একই গ্রামের জালাল মোল্লার ছেলে ইমন মোল্লা (১৮) টাকা দিয়ে বাজি ধরে মোবাইল ফোনে লুডু খেলছিল। এ সময় এলাকার মহিলা মেম্বার রাশিদা বেগমের ছেলে সজিব শেখ (২০) ওই দুই যুবককে টাকা দিয়ে বাজি ধরে লুডু খেলতে নিষেধ করে। এ সময় মোরছালিন শেখ ও ইমন মোল্লা মিলে সজিবকে মারধর করে।
পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে মহিলাসহ প্রায় ২০জন আহত হয়। এদের মধ্যে মুক্তা বেগম (২৪), সায়েদুল শেখ (৪৫), জালাল শেখ (৬০), হাসিবুর শেখ (২০), আতিয়ার শেখ (৫৫), ফেরদাউস শেখ (২০), রিপন শেখ (৩০), সুলতান শেখ (৭০), আলামীন শেখ (৪০) কে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই রাতে উভয় পক্ষ থেকে কাটালীপাড়া থানায় আলাদা আলাদা ভাবে দুটি মামলা দায়ের করে।
মহিলা মেম্বার রাশিদা বেগম বলেন, মোরছালিন ও ইমন আমার ছেলেকে অন্যায় ভাবে মারধর করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য মোরছালিন ও ইমনদের বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া জায়নি। তবে মোরছালিনের চাচি হ্যাপি বেগম বলেন, মহিলা মেম্বারে ছেলে ও তাদের লোকজন আমাদের মারধর করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, মোরছালিন, ইমন ও সজিবসহ এদের বন্ধু-বান্ধব মাদক, ক্রিকেট ও লুডু জুয়াসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের কারণে এলাকা শান্তি নষ্ট হচ্ছে। এদের সংঘর্ষের কারণে থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে। এই মামলার কারণে গ্রেফতারের ভয়ে প্রায় অর্ধশত পরিবারে পুরুষ শূন্য রয়েছে। দুই পক্ষের আসামীরা জামিনে এসে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হতে পারে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাকারিয়া বলেন, দুটি মামলার উভয় পক্ষের ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ওই এলাকার আইনশৃঙ্খলা যাতে অবনতি না ঘটে সে জন্য আমরা ততপর রয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন