লক্ষীপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। আহতদের সদর হাসপাতাল ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের দক্ষিন তেমহুনী এলাকায় লক্ষীপুরে সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহাদ বিনতে মাহী ও চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানায়, বাজেট ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়। দুপুরে শহরের উত্তর তেমহুনী এলাকা থেকে আনন্দ মিছিলটি বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দক্ষিণ তেমহুনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লক্ষীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহাদ বিনতে মাহী ও চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী বাবলু, ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল হোসেন, রিয়াদ হোসেন, সাগর ও ফজলে রাব্বীকে সদর হাসপাতাল ও অন্যদের স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করছে।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফ জানান, বাজেট ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে মিছিল শেষে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এর বেশি কিছু নয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন