শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

যার নাম শুনলে আঁতকে উঠত মানুষ শালিখার সেই লাল ফৌজ বাহিনী প্রধান লালনের মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মাগুরা জেলা সংবাদদাতা : মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামের মৃত নওফেল উদ্দিন সরদারের ছেলে আবু দাউদ সরদার ওরফে লালন সোমবার সকালে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এক সময়ে আন্ডার গ্রাউন্ড গণমুক্তি ফৌজের নেতা হিসাবে ঝিনাইদহ,কালীগঞ্জ,মাগুরা ও কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বাহিনী প্রধান নেতা রূপে পরিচিত ছিলেন। সন্ত্রাসী কর্মকাÐের মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিজেই গড়ে তোলেন লাল ফৌজ বাহিনী। এই লালন বাহিনীর নাম শুনলে সে সময় কালীগঞ্জ, শালিখা, বাঘারপাড়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ আতংকে শিউরে উঠতেন। ১৯৭১ সালের স¦াধীনতা যুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভাবে মুক্তি যুদ্ধে যোগ দিয়ে ভারতে ট্রেনিং করেও পাননি মুক্তি যোদ্ধা সনদ। এলাকার ফুলমিয়া একই সাথে মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে সনদ পেয়েছেন বলে জানা যায়। কিন্তু তার কপালে জোটেনী মুক্তি যোদ্ধা সনদ। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পেশা হিসেবে বেছে নেন দলিল লেখার কাজ। এলাকার সিদ্দিকুর রহমান,হারুন সরদার,রবিউল ইসলামসহ আরো অনেকেই জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর রাজাকারদের ধরে ধরে তিনি পুলিশে দিতেন । দাউদ সরদার শ্রম জিবি মুক্তি আন্দোলনের সাথেও সম্পৃক্ত ছিলেন। এর পর রক্ষিবাহিনীর হামলা ও মামলাসহ বিভিন্ন অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে আন্ডার গ্রাউন্ডে যোগ দিতে বাধ্য হন দাউদ সরদার। এরপর লাল ফৌজ নামে একটি বাহিনী গঠন করেন। এছাড়াও কমিনিষ্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডারও ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দল করতেন তিনি। এর পর বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদি দল বিএনপির প্রতিষ্ঠা থেকে তিনি বিএনপির রাজনৈতিকের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার আত্ম সমর্পণের নির্দেশ দিলে ওই সময় তার দলের প্রায় ২হাজার লোকজন নিয়ে যশোরের টাউন হলে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এর পর অন্ধকার জগত থেকে ফিরে আলোর জগতে এসে গ্রামে অবস্থান করে সাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকেন। নিয়মিত শালিখা থানায় হাজিরা দিয়ে আর কোন সন্ত্রাসী কর্মকাÐে জড়িত নয় বলে নিজেকে প্রমাণ করেন। সাভাবিক জীবন যাপন কালে তিনি এলাকায় মাছ চাষের সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি গত এক বছর আগে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্যারালাইসিস এ আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে জীবন যাপনের পর গত ৩০মে সকালে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই স্ত্রী তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ অনেক আত্মীয় স¦জন রেখে গেছেন। গতকাল সোমবার মরহুমের জানাজা শেষে বাদ আসর তার নিজ গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন