বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) পদ শূণ্য রয়েছে এক মাস ১৫দিন। গুরুত্বপূর্ণ এ পদ শূণ্য থাকায় অফিসিয়াল কার্যক্রমে যেমন স্থবিরতা বিরাজ করছে তেমনি ভোগান্তিতে রয়েছে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনসাধারণ।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন গত ২৯ এপ্রিল পদোন্নতি নিয়ে বদলি হয়ে যান। এরপর থেকে পাশের সালথা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মাকছুদুল ইসলাম অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনি বোয়ালমারীতে কখনও অফিস করেন না। কাগজপত্রে ইউএনওর স্বাক্ষর প্রয়োজন হলে ইউএনও অফিসের লোকজন সালথা গিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে আসেন। এছাড়া জুন মাসে ঠিকাদারি কাজসহ বিভিন্ন বিল উত্তোলনে অনেকেই চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। এসব বিলে ইউএনওর স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক। জুন মাসে ঠিকাদারি কাজসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বিল উত্তোলন করতে না পারলে এসব অর্থ পুনরায় ফেরত গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে প্রকল্প।
উপজেলা প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন জুন ফাইনাল চলছে ঠিকাদারিসহ বিভিন্ন বিলের চেকে সালথা গিয়ে ইউএনওর স্বাক্ষর আনতে হচ্ছে। এতে করে কাজের সময়ও নষ্ট হচ্ছে। জানা যায়, শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাব্বির আহমেদকে বোয়ালমারীর ইউএনও হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তিনিও এ পর্যন্ত নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন