চামড়া শিল্পের (ট্যানারি) বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে হাঁস-মুরগি (পোল্ট্রি) ও মাছের (ফিস ফিড) খাবার তৈরির অপরাধে ১০ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ৬টি কারখানা সিলগালা করে তাদের মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা এবং ২৮শ’ টন বিষাক্ত পোল্ট্রি ও ফিস ফিড জব্দ করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাজধানীর হাজারীবাগে এ অভিযান চলে। র্যাব-২ এর নের্তৃত্বে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ অভিযান চলে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
র্যাব সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে হাজারীবাগের ৭-৮টি কারখানায় হানা দেয় র্যাব। অভিযানকালে কারখানাগুলোতে ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্য দিয়ে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় কারখানা সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ৬টি কারখানা সিলগালা করে তাদেরকে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা ও ২৮শ’ টন বিষাক্ত খাদ্য জব্দ করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চামড়ার বর্জ্যে অধিকমাত্রায় ক্রোমিয়ামসহ ভারী বিষাক্ত ধাতু বিদ্যমান থাকে। যার কারণে এসব পোল্ট্রি খাবার পশুপাখিসহ মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর পরিণতিতে ক্যান্সার, লিভার সিরোসিসসহ মারাত্মক রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে।
র্যাব জানায়, এসব চক্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালানো হলেও তারা আবারও একই কাজ শুরু করে। এর আগে চলতি বছরের ২ এপ্রিল ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরির সকল কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়াও যারা ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মৎস্য ও পোল্ট্রি খাবার তৈরি এবং বিপণন করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দিতে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশ প্রধানকে হাইকোর্ট ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন