নিজ মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি ও অনাকাক্সিক্ষত তদবিরের প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন, তা বাস্তবায়ন করা হবে। আবাসন সংকট সমাধানে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অদূর ভবিষ্যতে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। দেশের দারিদ্র্য ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৪টি বিশেষ উদ্যোগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বিনা টাকায় গৃহের ব্যবস্থা করা হবে, ২৫ বছরের ভাড়ায় আবাসনের মালিক হবেন। মন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ের কিছু অনাকাঙিক্ষত অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ৬২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনিয়মের বিষয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবায়নযোগ্য এক অনন্য বাজেট হিসেবে উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম বলেন, সমালোচনার জন্য সমালোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু এটি একটি সুষম বাজেট।
বিরোধী দলের সমালোচনা করে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, তারা দেশের কোনো উন্নয়ন দেখে না। পদ্মাসেতু নিয়ে তাদের নেত্রীর বক্তব্য মেনে চললে, তারা এ সেতুতে উঠবেন না নৌকায় নদী পার হবেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির সমালোচনা করে রেজাউল করিম বলেন, যে এতিমের টাকা মেরে খায়, যার ছেলেরা দুর্নীতির দায়ে দন্ডিত তার মুক্তির দাবি এ সংসদে জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এ দেশে যত রাজনৈতিক হত্যাকান্ড হয়েছে তার সবগুলোই হয়েছে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সময়ে। আওয়ামী লীগের সময়ে যেসব ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলোর বিচার হয়েছে। বিডিআর হত্যাকান্ড, নারায়ণগঞ্জের হত্যাকান্ডের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন