দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত নবাবগঞ্জ উপজেলার কুঁচদহ ইউনিয়নের শিকপুর একটি অজপাড়া গাঁয়ের নাম। পূর্বে ডা. আফতাব হোসেন,সে গ্রামে বসবাস করতেন সুশিক্ষিত কৃষক ডা. আফতাব হোসেন, বিশাল মল্লাই বিলের পার্শ্বে সাঁওতাল পাড়া সংলগ্ন এক দাগে ১৫/২০ একর জায়গা ছিল ডা. আফতাব হোসেনের । সেই জায়গায় তিনি কৃষি চাষাবাদ করতেন। এলাকার লোকজনের কাছে ভাল ডাক্তার হিসাবে পরিচিতি পান। তার নামে গড়ে উঠেছে আফতাবগঞ্জ।
তিনি মির্জাপুর গ্রামে প্রথমে স্বাধীণতার পূর্বে উক্ত গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। তার পরিচিতির সুবাদে বর্তমানে অজপাড়া গ্রামটি শহরে পরিনত হয়েছে। এখন সারাদেশের মানুষ এক নামে চেনে ডা. আফতাব হোসেনের নামে নাম রাখা ‘আফতাবগঞ্জ’। ডা. আফতাব হোসেনের দু’সন্তান। বড় ছেলে দেলোয়ার হোসেন, ছোট ছেলে মোস্তফিজুর রহমান (ফিজু)। বাবার আদর্শের বড় সন্তান দেলোয়ার হোসন বাবার রেখে যাওয়া ১৫/২০ একর আবাদি জমিতে গড়ে তোলেন স্বল্পিত, দৃষ্টি নন্দন, ভ্রমন পিপাসুদের জন্য একটু শান্তির জায়গা! নাম দিয়েছেন ‘আফতাবগঞ্জ স্বপ্নপুরী পিকনিক স্পট’ স্বপ্নপুরীর স্বত্বাধিকারি দেলোয়ার হোসেন কুচদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, তিনি ৩৫ বছর যাবৎ সুনামের সাথে সেবা করে আসছেন। তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসাবে স্বর্ণপদকসহ অনেক সস্মানে ভুষিত হয়েছেন। সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি দেলোয়ার হোসেন এরশাদের জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। প্রথমে তিনি স্বপ্নপুরীর পিকনিক স্পট স্বল্প পরিসরে ‘স্বপ্নপুরী’ নাম দিয়ে শুরু করেন।
এখন সেটি বিশাল পরিসরে মেধা, শ্রম, দক্ষতা, সততা দিয়ে সত্যিকারের স্বপ্নপুরীতে পরিনত করেছেন। স্বপ্নপুরীর প্রধান গেটে ঢুকেই জীবনকে স্বরন করে দেয়, আল্লাহর নাম! যা স্বপ্নপুরীর ভিতরের গেটের পাশেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মনমুগ্ধকর মসজিদ। স্বপ্নপুরীতে বিনোদন প্রেমিকরা বেড়াতে আসছেন। দেখার মত দৃষ্টিনন্দন, স্বল্পীত স্বপ্নপুরীতে অনেক নির্দেশনা বিদ্যমান। পুরোনো দিনের অনেক নিদর্শন সংগ্রহসহ অনেক জিনিস তৈরি করেছেন। প্রায় ২০ বছর আগের ইনকিলাবের সে সময়ে স্বল্পীত সংবাদগুলি সোভা পাচ্ছে পুরাতন সেই টিনসেটের অফিস রুমে। ছোট স্বপ্নপুরী তিনি এখন শত শত একরের স্বপ্নপুরিতে পরিনত করেছেন।
স্বপ্নপুরীর স্বত্তাধিকারি শিল্পপতি দেলোয়ার হোসেন জানান, সৎ নিয়ত থাকলে গ্রামকে শহর বানানো যায়। তার প্রমান তিনি নিজে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন