শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা হলে নারী নিপীড়ন কমবে’

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ

বিশেষ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৯, ৬:৪৮ এএম

বাংলাদেশে নারী নির্যাতন বর্তমানে ভয়াবহ পর্যায়ে রয়েছে। আমরা যদি একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বেচে থাকতে চাই, মাথা উচুঁ করে বাচঁতে চাই তাহলে নারী নিপীড়নের হার কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের দেশের বিচারব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা রয়েছে। বিচারহীনতা দুর করতে হলে বিচারব্যবস্থা ও পুলিশ ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশে সুদৃঢ়ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে নারী নির্যাতন কমবে।

গতকাল শনিবার নারী নিপীড়ন কমাতে নুসরাত হত্যার বিচার নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আকবর আলী খান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। রাজধানীর বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-এ অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ঢাকা কমার্স কলেজকে হারিয়ে সিদ্ধেশরী গালর্স কলেজ এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়। নুসরাত হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ড. আকবর আলী খান বলেন, নুসরাতের হত্যাকান্ড বাংলাদেশের কালো ইতিহাসের একটি কৃষ্ণতম অধ্যায়। এই হত্যাকান্ডের বিচার বাংলাদেশের সমস্ত লোক চায়। নুসরাত হত্যার সঠিক বিচার হয়তো নারী নিপীড়ন কিছুটা কমিয়ে আনলেও উল্লেখযোগ্য হারে তা কমিয়ে আনতে পারবে না। এই একটি মামলায় সুবিচার করে কঠিন শাস্তি দিলেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে না।

বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে মিথ্যা দিয়ে মামলা শুরু হয় এবং সত্য মামলা প্রতিষ্ঠার জন্য মিথ্যা সাক্ষ দিতে হয়। এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য আইন পরিবর্তন করতে হবে, বিচার ব্যবস্থার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে, বিচার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, নুসরাত একটি প্রতীক। এক প্রতিবাদী মেয়ে। মৃত্যু পূর্ব পর্যন্ত সে বিচারের দাবিতে অটল ছিল। তিনি তার স্মৃতির প্রতি সম্মান রেখে সোনাগাজী যে মাদরাসায় নুসরাত লেখাপড়া করেছে সে মাদরাসার নামকরণ নুসরাতে নামে এবং তার মারা যাওয়ার দিনটিকে জাতীয়ভাবে ‘নিপীড়ন বিরোধী দিবস’ হিসেবে পালনের দাবি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন