শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

তেভাগা আন্দোলনের কৃষক নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশ

মো. কায়ছার আলী | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

শেরে বাংলা, বঙ্গবন্ধু, দেশবন্ধু, নেতাজী, ভাসানী, বিশ্বকবি, জাতীয় কবি, পল্লী কবি, শিল্পাচার্য, জ্ঞানতাপস, মাস্টারদা, এসব কারো নাম নয় উপাধি। ব্যক্তির চেয়ে কীর্তি যখন বড় হয়, তখন নামের চেয়ে উপাধিটাই বড় হয়ে যায়। তখন নামে নয়, খেতাবেই তিনি সার্বজনীন হয়ে যান। একজন মানুষের নাম যা-ই থাকুক তিনি যে পদ-পদবীরই অধিকারী হন সেটা ছাপিয়ে যখন তার বীরত্ব, কৃতিত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব পদের গন্ডি ছাড়িয়ে যায় তখন ওই জনপদের মানুষ খুশি হয়ে তাঁকে একটা বিশেষ বিশেষণে বা বিশেষ উপাধিতে ভূষিত করে। তখন তিনি ওই বিশেষণে বা বিশেষ পদবীতেই পরিচিত হয়ে যান। মানুষ সর্বজ্ঞ বা সর্বনিয়ন্তা নয়। একজন ব্যক্তি একাধারে অসংখ্য গুণের অধিকারী হতে পারে না। বরং এক-দুটি বিষয়ে পারদর্শী বা যশস্বী হতে পারেন মাত্র। অর্জন না হলে দান হয় না, শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠতে না পারলে শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ সম্ভব নয়। মানুষকে জ্ঞানে-শক্তিতে অর্থ বিত্তে ও সৃজনশীলতায় বড় হতে হয়। সকল মানুষের মাঝে সৈনিকের শক্তি নাও থাকতে পারে। আগে জ্ঞানী হয়ে তারপর জ্ঞান দান করতে হবে। বিত্তশালী হয়েই তো বিত্ত বিলানো যায়। তবে সবচেয়ে বড় কথা হল মানুষের প্রয়োজনের সময় (দুঃখ ও দুর্ভিক্ষ) যদি বড় মানুষেরা মানব কল্যাণের জন্য কাজ না করে তবে বিখ্যাত হওয়ার সুযোগ তাদের আর নাও আসতে পারে। অতি সংক্ষিপ্ত মানব জীবনে দ্বিতীয়বার সুযোগের অপেক্ষায় থাকাটা বোকামি। কোনো কোনো বড় মানুষ পরিস্থিতির চাপে পড়ে ছোট-খাটো ভুল করে সমালোচিত হন। এর অর্থ এই নয় যে তিনি ছোট হয়ে গেছেন। বিভিন্ন ব্যক্তির মতাদর্শ বিভিন্ন হতে পারে। থিসিস থাকলে এন্টি থিসিস থাকবে, মত থাকলে মতান্তর বা ভিন্নমত থাকবে। এজন্য অন্যের নিন্দা করা বা তাকে ক্ষুদ্র ভাবা ঠিক নয়। যিনি বড়, তিনি তার মহত্ত¡, বড় কর্ম, বড় আত্মত্যাগের জন্য বড়। বড়কে বড় বলেই মেনে নিতে হয়। কালজয়ী, কীর্তিমানেরা মেধা, যোগ্যতা ও র্কীতি দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন। তারা নিজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন সারা বিশ্বে। সেই সব প্রাতঃস্মরণীয় মহাপুরুষ তথা তেভাগা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ বাংলার কমুনিস্ট অংগদল, কৃষক সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, আলোচিত রাজনীতিবিদ, ত্যাগী পুরুষ হাজী মোহাম্মদ দানেশ। উত্তরবঙ্গই ছিল তেভাগা (তিন ভাগ জমির মালিক, কৃষক বা শ্রমিক এবং উৎপাদন খরচ) আন্দোলনের সুতিকাগার। উত্তরবঙ্গে এই আন্দোলনের উদ্ভব হওয়ার কারণ ছিল উত্তরবঙ্গ বরাবর জোতদার প্রধান তথা জোতদার শাসিত এলাকা, যারা এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং শত সহস্র বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আন্দোলনকে সার্থক করার লক্ষ্যে এগিয়ে নেয়ার মরণপণ সংগ্রাম করেন সেই নেতারা অধিকাংশই ছিলেন উত্তরবঙ্গবাসী। তারা হলেন দিনাজপুরের হাজী মো. দানেশ, গুরুদাস তালুকদার, বরদা চক্রবর্তী, রূপনারায়ন রায়, হেলেকেতু সিং প্রমুখ বিপ্লবী নেতারা ছিলেন আন্দোলনের স্বাপ্নিক রূপকার। তার মধ্যে তেভাগা আন্দোলনের সর্বাধিক ত্যাগী ও তেজস্বী নেতারূপে হাজী মো. দানেশের নামটি ‘প্রবাদ পুরুষে’ পরিণত হয়। দু’কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক হাজী মোহাম্মদ দানেশ ১৯০০ সালের ২৭ জুন দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ থানার সুলতানপুর গ্রামে এক বড় জোতদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ গ্রামে শৈশবে লেখাপড়ার হাতেখড়ি হলে সেতাবগঞ্জ থেকে প্রবেশিকা, রাজশাহী কলেজ থেকে আই.এ এবং বি.এ পাস করেন। পরবর্তীতে ভারতের উত্তর প্রদেশে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এম.এ এবং আইনে বি.এল ডিগ্রি লাভ করেন। ঠাকুরগাঁও আদালতে প্রথম উকিল হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে দিনাজপুর এস.এন কলেজে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। এক পর্যায়ে দিনাজপুর জেলা আদালতে আইন ব্যবসা আরম্ভ করেন। কৃষক বর্গা চাষী, ভাগ চাষী, ক্রান্তি চাষীদের ওপর জমিদার ও জোতদারের সীমাহীন অত্যাচার দেখে শিশু বয়সে মোহাম্মদ দানেশের মানসিক চিন্তায় বিপ্লব ঘটে। তিনি ছাত্র জীবনেই কৃষকের ওপর অত্যাচারের প্রতিকার কল্পে কৃষক আন্দোলনে আকৃষ্ট হন। হাজী দানেশ ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কমিউনিস্ট পার্টির অঙ্গসংগঠন কৃষক সমিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন এবং কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করেন। তাঁর নেতৃত্বে দিনাজপুর জেরায় টোল আদায় বন্ধ ও জমিদারি উচ্ছেদের দাবিতে কৃষক আন্দোলন জোরদার হয় এবং আন্দোলনকালে তিনি কারাভোগ করেন। নীলফামারি জেলার ডোমারে ১৯৪২ সালে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় কৃষক সম্মেলনে অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন হাজী দানেশ। সম্মেলনের পরপরই তিনি গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। বর্গাচাষীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে তিনি উত্তরবঙ্গে তেভাগা আন্দোলন সংগঠিত করেন। তেভাগা আন্দোলনের প্রস্তুতি পর্বে দাবি ছিল: ১। উৎপন্ন ফলের তিন ভাগের দু’ভাগ চাই। ২। জমিতে চাষীর দখল স্বত্ব দিতে হবে। ৩। শতকরা সাড়ে বারো ভাগের বেশি অর্থাৎ মনকরা ধানের পাঁচ সেরের বেশি সুদ নেই। ৪। হরেক রকমের আবোয়ার সহ বাজে কোনো কর আদায় করা চলবে না। ৫। রশিদ ছাড়া কোনো আদায় নেই। ৬। আবাদযোগ্য সব পতিত জমি আবাদ করতে হবে। ৭। জোতদারের পরিবর্তে ভাগচাষীদের খোলানে ধান তুলতে হবে। তারা ৩টি স্লোগান নিয়ে এগিয়ে এসেছিল (ক) নিজ খোলানো ধান তোল। (খ) আধা নয় তেভাগা চাই। (গ) কর্জ ধানে সুদ নাই। ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা, তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার দুর্গাপুর থানার বাহের খালী গ্রামের রাসমনি, দিনাজপুরের কৌশলা কার্মায়নী, যশোদা রাণী, ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈলের ভান্ডারিয়া, দিনাজপুরের ঠুমনিয়ার সুরমা সিং, সুকুর চাঁদ, নবাবগঞ্জের রামচন্দ্রপুরের জমিদার বাড়ির রাজবধুর নেতৃত্বে নাচোলের সাঁওতাল, মুড়িয়াল সর্দার, রাজবংশী মাহাতো হিন্দু-মুসলিম সব সম্প্রদায়ের বর্গাচাষীরা অস্তিত্বের প্রশ্নে একাত্ম হয়েছিলেন। এ আন্দোলন বিস্তার লাভ করে বেশিরভাগ ভাবপ্রবন কোচ রাজবংশী ও সাঁওতাল আদিবাসীদের মধ্যে। তারাই ছিল বেশিরভাগ শোষিত ও বঞ্চিত সম্প্রদায়। নেতাদের উস্কানিতে যখন থেকে জোতদারের সম্মতি ব্যতিরেকে কাটা ধানের পুঞ্জ জোতদারের খামারের পরিবর্তে আধিয়ারে নিজ নিজ বাড়ির উঠানে তুলতে শুরু হয় এবং মাড়াই ধান তিন ভাগ করে দুই ভাগ নিজের জন্য রেখে বাকি ভাগ জোতদারদের দিতে শুরু করে তখনই জোতদার শ্রেণীর কলিজায় আঘাত পড়ে। কিন্তু জোতদারদের পক্ষে কিছু করবার উপায় ছিল না সমবেত ক্রুদ্ধ আধিয়ারগণের উত্থানের বিরুদ্ধে। তেভাগা আন্দোলনের ফলে ইংরেজ সরকার দলন নীতির পথে অগ্রসর হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ত্রিশ পঁয়ত্রিশ হাজারের মতো উত্তেজিত কৃষক শ্রমিক জনতার উপর গুলি চালানের নির্দেশ দেয়। এতে কমপক্ষে পঁয়ত্রিশ জন নিহত এবং বহু মিছিলকারীর আহত হবার মধ্য দিয়ে তেভাগা আন্দোলনের প্রথম সশস্ত্র বিপ্লবটি সংগঠিত হয়। ১৯৫০ সালে দ্বিতীয় বিপ্লব সংগঠিত হয়। সরকার তখন নাচোলের ১২টি গ্রাম আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। অসংখ্য রমণীকে বলাৎকার করে, গুলি করে হত্যা করে, ইলা মিত্র গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হয়। ১৯৫০ সালে পূর্ববঙ্গ অধিগ্রহণ ও প্রজাতন্ত্র আইন প্রজাস্বত্ত¡ আইন প্রণয়নে প্রভাব বিস্তার করেছিল তেভাগা আন্দোলন। আজীবন সংগ্রামী হাজী দানেশ জেল জুলুম অত্যাচার সহ্য করে সর্বমোট ২৮ বছর কারাগারের অভ্যন্তরে থেকেছেন। সব সময় দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে গেছেন। কোনো প্রকার লোভ লালসার ফাঁদে তিনি পা দেননি। তিনি তাঁর বংশধরদের জন্য কিছুই রেখে যেতে পারেননি। তার জীবনের মূল মন্ত্র ছিল শোষণমুক্ত ‘কৃষক শ্রমিকরাজ’ কায়েম করা। কৃষকের স্বার্থের বিরুদ্ধে তিনি কোনো সময়ই আপোস করেননি। তিনি সংসদ সদস্য হয়েও ট্রেনে তৃতীয় শ্রেণিতে যাতায়াত করতেন এবং সেভাবেই ভ্রমণ ভাতা গ্রহণ করতেন এবং ডেডিকেটেড রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন। যা মুসলমান নেতাদের অনেকের মধ্যেই দেখা যেত না। ১৯৩৮ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত তিনি তোলাবাটি আন্দোলন, সুসংদবদ্ধ আন্দোলন, গান্ডি আদায় বন্ধ আন্দোলন, ‘জাল যার জলা তার’ আন্দোলন করেন ও গ্রেফতার হন। ১৯৩৮ সালে তিনি কৃষক আন্দোলন সংগঠিত করেন। ১৯৪২ সালে তিনি বঙ্গীয় কৃষক সম্মেলনের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং ১৯৪৫ সালে মুসলীম লীগে যোগদান করেন। তিনি ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সালের মাঝামাঝি বাংলাদেশ ও ভারতে পশ্চিমবঙ্গের ১৯ টি জেলায় ৬০ লাখ বর্গাচাষী নিয়ে তিন ভাগের দুই ভাগ আদায়ের জন্য জমিদার ও জোতদারদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি সংগ্রাম করেন। ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগ থেকে বহিস্কৃত হয়ে তিনি কারাভোগ করেন এবং ১৯৪৭ সালে মুক্তিলাভ করেন। ১৯৫২ সালে গণতন্ত্রী দল নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন এবং ঐ দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে গণতন্ত্রী দল যুক্তফ্রন্ট্রে যোগ দিলে তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে দিনাজপুর জেলা থেকে পূর্ব বঙ্গ আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। অতপর কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ৯২-ক ধারা জারি করে পূর্ববঙ্গ যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিলে তিনি গ্রেফতার হন এবং ১৯৫৬ সালে মুক্তি লাভ করেন। ১৯৫৭ সালে গণতন্ত্রী দলের অস্তিত্ব বিলোপ করে তিনি ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত ন্যাপে যোগ দেন এবং সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে দেশে সামরিক আইন জারি হলে তিনি কারারুদ্ধ হন। ১৯৬৪ সালে ন্যাপের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৫ সালে পুনরায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তিনি ন্যাপ থেকে পদত্যাগ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ডিসেম্বর মাসে জাতীয় গণমুক্তি ইউনিয়ন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ১৯৭৫ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে বাকশালে যোগ দেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৭৬ সালে তিনি জাতীয় গণমুক্তি ইউনিয়ন পুনরুজ্জীবিত করেন। আবার ১৯৮০ সালে এই দল বিলোপ করে তিনি গণতান্ত্রিক পার্টি নামে একটি নতুন দল গঠন করেন এবং দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের সাথে ঐক্য গড়ে তোলেন এবং ১৯৮৬ সালে এরশাদের জাতীয় পার্টির সাথে নিজ দলসহ একীভূত হয়ে যান। তিনি জাতীয় পার্টির অঙ্গ-সংগঠন জাতীয় কৃষক পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-২ আসনে পরাজিত হন এবং ১৯৮৬ সালে ২৮ জুন ঢাকায় পি.জি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। অবিভক্ত ভারত বর্ষের কৃষক আন্দোলনে হাজী মোহাম্মদ দানেশ একটি শ্রদ্ধা মিশ্রিত নাম। ১৯৮৮ সালে তাঁর কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিনাজপুরে একটি কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমান সরকার ১৯৯৯ সালে ঐ কলেজটিকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করেন। বর্তমানে দিনাজপুর বড়মাঠের এক কোণে এই মহান নেতার কবরটি চরম অবহেলা, অনাদর এবং অযত্মে পড়ে আছে। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি, ভর্তি পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান অংশে কমপক্ষে ৫ নম্বর (জীবন ও কর্ম) এবং প্রতি বছর জন্ম ও মৃত্যু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনসহ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো উচিত।

লেখক: শিক্ষক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট
kaisardinajpur@yahoo.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mangal Mandi ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ২:৪৭ পিএম says : 0
ভাগি চাষি কাদের বলা হয়
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন