বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মুসলিম যুবককে হত্যার প্রতিবাদে ভারতের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ

আমার আর কেউ নেই, আমি কীভাবে বাঁচব : স্ত্রীর আর্তি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

গত সপ্তাহে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে একদল হিন্দু চোর সন্দেহে এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার বিরুদ্ধে গত বুধবার ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ব্যবহৃত সেলফোন ভিডিওতে দেখা যায়, ২৪ বছর বয়স্ক তাবরেজ আনসারিকে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। তিনি ক্ষমা চাইছেন। কিছু লোক তাকে লাঠি দিয়ে পিটাচ্ছে এবং জয় শ্রীরাম, জয় হনুমান বলতে তাকে বাধ্য করছে। তার স্ত্রী শায়েস্তা আনসারি জানান, সারা রাত তাকে খুঁটির সাথে বেঁধে পেটানো হয়। পরে জনতা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। চারদিন পর আনসারি আঘাত জনিত কারণে মারা যান। শায়েস্তা আনসারি এনডিটিভি চ্যানেলকে বলেন, সে মুসলমান বলেই তাকে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন আমার আর কেউ নেই। আমি কিভাবে বাঁচব? রাজধানী নয়াদিল্লিতে কয়েক ডজন মানুষ আনসারির হত্যার বিচারের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে এক সমাবেশে মিলিত হন। পশ্চিমাঞ্চলে গুজরাট ও পূর্বাঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গে শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা ধর্মের নামে আর কাউকে পিটিয়ে হত্যা নয় লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন। আরো ৫০টি শহরের প্রতিবাদ বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু তার কতগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে তা জানা যায়নি। ওই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত বুধবার ভারতের রাজ্যসভায় এ ব্যাপারে তার প্রথম মন্তব্যে বলেন, তিনি এটা শুনে দুঃখিত হয়েছেন। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কঠোর শাস্তির আহŸান জানান। ২০১৪ সালে মোদি ও বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষজনিত অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন থেকে হিন্দু উগ্রপন্থী জনতা গো-হত্যার সন্দেহে মুসলমানদের উপর হামলা বা তাদের পিটিয়ে হত্যা করছে। তাবরেজ আনসারিকে হত্যার দু’দিন পর পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ট্রেনে একজন মাদরাসা শিক্ষককে কিছু হিন্দু লোক আক্রমণ করে। তারা তাকে জয় শ্রীরাম বলতে জোর করে। কিন্তু তিনি তা না করায় তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দেয়া হয়। আনসারি হত্যার ঘটনায় বহু লোক সামাজিক মাধ্যমে ঝাড়খন্ডের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের নিন্দা করেছে। নাগরিক সমাজ গ্রæপগুলো গত ৩ বছরের ১৩ সংখ্যালঘুকে, যাদের বেশির ভাগ মুসলিম, পিটিয়ে হত্যার ঘটনা রেকর্ড করেছে। রয়টার্স।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
MD Akhtar Hossain ২৮ জুন, ২০১৯, ৪:২৮ এএম says : 0
ধিক্কার জানাই
Total Reply(0)
Shahadat Hossain ২৮ জুন, ২০১৯, ৪:৩০ এএম says : 0
উগ্রবাদ ছড়িয়ে গিয়েছে সর্বত্রই-ভারতের মুসলিমদের জন্যে খুবই কঠিন সময় অপেক্ষা করছে যদি মোদি সরকার আবারো ক্ষমতায় আসে-তাহলে দাঙ্গা ভয়াভয় আকারে বাড়বেই-উদ্বাস্তু হয়ে এইসব মুসলিমরা পাকিস্তান ও বাংলাদেশে পাড়ি দিবে-বা উগ্র হিন্দুবাদী সরকার বাধ্যে করাবে!
Total Reply(0)
Sâlmâñ Hossain ২৮ জুন, ২০১৯, ৪:৩১ এএম says : 0
সকল মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এ নৃশংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলতে হবে। এটি সভ্যতার দাবি। মানবতার দাবি। বিবেকের দাবি।
Total Reply(0)
সিরাজুল ইসলাম ২৮ জুন, ২০১৯, ৪:৩২ এএম says : 0
আর কত মুসলমানরা নির্যাতিত হলে তার পরে মুসলীম বিশ্বের নেতারা প্রতিবাদ করবে ? তারা আর কবে ঐক্যবদ্ধ হবে ?
Total Reply(0)
Mohammed Shahjalal ২৮ জুন, ২০১৯, ৪:৩২ এএম says : 0
ভারতে প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর নির্যাতনের চিত্র দেখা যাচ্ছে। এ ধরনের সহিংসতা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
Total Reply(0)
Iqbal Hossain ২৮ জুন, ২০১৯, ৪:৩৩ এএম says : 0
যারা অসাম্প্রদায়িক দেশ বলে প্রচার করে তাদের থেকে এমন নিষ্ঠুরতা মেনে নেয়া যায়না। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
Total Reply(0)
Karim ২৮ জুন, ২০১৯, ৪:৩৪ এএম says : 0
ভারতে এই ধরনের ঘটনা প্রতিদিনই ঘটে অথচ দুর্ভাগ্য ভারত থেকেও জঙ্গিরাষ্ট্র মৌলবাদী রাষ্ট্র সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলে না একটি চরম হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দল বারবার ক্ষমতায় আসার পর গণমাধ্যমে ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেক্যুলার রাষ্ট্র বলা হয় ভারতের কোথাও সেক্যুলারিজমের চিহ্নমাত্র নেই ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থায় কোথাও সেকুলারিজম নেই রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে আরএসএস রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ এবং হিন্দু সভা পরামর্শে কিন্তু বাইরে তারা ধর্মনিরপেক্ষতার একটা খোলস লাগিয়ে বসে আছে।
Total Reply(0)
abdul awal ২৮ জুন, ২০১৯, ৫:৫০ এএম says : 0
এ হত্যার তিব্র নিন্দা জানাই তাদের উগ্রবাদীদের কঠিন বিচার চাই।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ২৮ জুন, ২০১৯, ১০:৩৫ এএম says : 0
ভারতকে দাঁত ভাংগিয়া দিতে হইবে এবং কাশ্মীর সহ হায়দ্রাবাদ খালিস্থান পশ্চিম বংজ্ঞ, গুজরাট অতি স্বত্বর স্বাধীন করিতে হইবে। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)
Shamim Sarkar ২৮ জুন, ২০১৯, ১০:১২ পিএম says : 0
একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে এমন কিছু একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে ধর্মবর্ণ ভেদাভেদ করে বেঁচে থাকা দায়, সরকার ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এর সু-বিচার করতে পারে।
Total Reply(0)
Shamim Sarkar ২৮ জুন, ২০১৯, ১০:৫৫ পিএম says : 0
বিচার হওয়া জরুরী
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন