পাহাড়ের আঞ্চলিক দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ জেএসএস এমএন লামরাগ্রুপের এক নেতা কাপ্তাই হ্রদের পানিতে নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় রাঙামাটির সুবলং ইউনিয়নের কাচালং দোর এলাকায় এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস ও সংস্কারপন্থী জেএসএস এর মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে কোকো চাকমা নামে সংস্থারপন্থীদলের এক ব্যক্তি কাপ্তাই হ্রদের পানিতে তলিয়ে যায়। সংস্কারপন্থী জেএসএস এমএন লারমা গ্রপের নেতা কোকো চাকমা নিজে সুবলংয়ে সহকারী সংগঠকের দায়িত্বে ছিলেন এবং তিনি জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপের প্রধান নেতা পেলে বাবুর আপন ভাতিজা বলে জানিয়েছে দলটির দায়িত্বশীল সূত্র। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন কামুক্যাছড়া এলাকায়। কোকো চাকমা সুবলং এলাকায় জেএসএস এমএন লারমা দলের সহকারি সংগঠক বলে জানিয়েছে দলটির একাধিক সূত্র। বরকল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মফজল আহমেদ খান ঘটনার কথা জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি থেকে ইট বোঝাই ২টি ট্রলার বোট নিয়ে লংগদুর উদ্দেশ্য সুবলং বাজার ক্রস করে যাচ্ছিল।
এ সময় চাঁদার জন্য সুবলং বাজারের মাজারের ঘাটে ভিড়ানোর লক্ষ্যে বোটগুলিকে সিগন্যাল দেয় জেএসএস এমএন লারমার সংস্কারপন্থীর কর্মীরা। কিন্তু মাল বোঝাই বোটগুলো ঘাটে না ভিড়িয়ে চলে যাচ্ছিলো। এসময় জেএসএস সংস্কারপন্থীরা তাদের কাছে থাকা ষ্পিড বোট নিয়ে ওই মালামাল বোঝাই দুটি বোট কে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ওই দু’টি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করে সংস্কারপন্থীরা।
এসময় গুলি করতে করতে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার সীমানা ত্যাগ করে প্রতিপক্ষের সীমানায় চলে এলে আমবাগান নামক এলাকায় ওৎপেতে থাকা জেএসএস এর মূল দলের সশস্ত্রকর্মীরা সংস্কারপন্থীদের দেখেই ব্যাপকহারে গুলি চালাতে থাকে।
এসময় সংস্থারপন্থীরাও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে এমএন লারমার সংস্কারপন্থীদের ষ্পিড বোটের ড্রাইভার কোকো চাকমা গুলিবিদ্ধ হয়ে পানিতে পড়ে যায় বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বরকল থানার ওসি মফজল আহম্মদ খান। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ৫০ রাউন্ডের অধিক গুলি বিনিময় হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন