দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বখাটে রাজত্ব কায়েমসহ আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতার সর্বশেষ নজির বরগুনা শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত হত্যাকাণ্ড। এ অভিমত বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ ছাড়া আমজনতার।
গত কয়েকটি বছর ধরে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে ছিঁচকে মাস্তান, উঠতি মাস্তানসহ বখাটেদের দৌরাত্বের কাছে সুস্থ্য সমাজ ব্যবস্থা জিম্মি হয়ে পড়লেও তা থেকে উত্তরণের কোন উদ্যোগ নাই। এমনকি অনেক এলাকাতেই এসব বখাটে ও ছিঁচকে মাস্তানরাই সমাজসহ আমজনতার ভাগ্য নিয়ন্তা বলেও অভিযোগ রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয়ে এসব বখাটেদের নানামুখি অনৈতিক কর্মকাণ্ড সমাজকে কলুষিত করার পাশাপাশি সুস্থ্য সামাজিক ব্যবস্থাকে বিপন্ন করলেও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় অসহায় সাধারণ মানুষ। বরিশাল মহানগরীসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে ইভটিজিং ইতোমধ্যে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করলেও কোন প্রতিকার নেই। মাদক ব্যবসাও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে।
সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে এসব মাস্তানরা বৈধ অবৈধ মোটর বাইক নিয়ে দিন রাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে ট্রাফিক আইনের কার্যকরিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। নিকট অতীতে যে বৃহত্তর বরিশাল শিক্ষা ক্ষেত্রে সারা দেশের শীর্ষে অবস্থান করত, ইতোমধ্যে তা ক্রমাবনতির দিকে। গত কয়েক বছর ধরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল নিয়েও হতাশা রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। বোর্ডের পাশের হার সারা দেশের মধ্যে নিচের দিকে। কৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জিপিএ-৫ এর হার ৩% এর বেশি নয়।
বরিশাল মহানগরীসহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল জুড়েই সামাজিক অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে বলে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। মাদক, ইভটিজিং সহ সুস্থ্য সমাজ ব্যবস্থার বিরোধী কর্মকাণ্ড ক্রমশ আধিপত্য বিস্তার করছে। বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন পার্ক ও মিনি চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোতে দিনরাত স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রছাত্রীরা আড্ডা দিয়ে বেড়াচ্ছে। মহানগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক ও স্বাধীনতা পার্কসহ বিভিন্ন পার্কে অনেক রাত পর্যন্ত যেভাবে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের আড্ডা চলে, তাতে ঐসব স্থানে সুস্থ্য বিনোদনের সুযোগ বিলুপ্ত হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন