বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কেন্দুয়ায় গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ ঘটনার মূলহোতা কথিত স্বামী গ্রেফতার

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৯, ৬:৩৯ পিএম

কেন্দুয়া থানার পুলিশ রবিবার সন্ধ্যায় গৌরীপুর শ্যামগঞ্জ সড়কে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর গামেন্টর্স কর্মীকে(২১) গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী কথিত স্বামী নূরে আলমকে (২৪) গ্রেফতার করেছে।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুজ্জামান জানান, কেন্দুয়া উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বৈরাটি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে নূরে আলম গাজীপুর বোর্ড বাজার এলাকায় একটি সোয়েটার কোম্পানীতে চাকুরী করতো। সেই কোম্পানীতে কেন্দুয়া উপজেলার মাসকা গ্রামের এক নারী কর্মীও কাজ করতো। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। নূরে আলম নিজেকে মদন উপজেলার জাওলা গ্রামের সুমন পরিচয় দিয়ে প্রথমে নারী কর্মীর সাথে বন্ধুত্ব পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরবর্তী পর্যায়ে রেজিস্ট্রি ছাড়াই বিয়ে করে তারা একত্রে বসবাস করে আসছিল। ঈদুল ফিতরের ছুটিতে তারা স্ব স্ব বাড়িতে চলে আসে। ঈদের পরদিন ৬ জুন বিকেলে কথিত স্বামী সুমন মোটর সাইকেল নিয়ে মাসকা এসে নারী গার্মেন্টস কর্মীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে বের হয়। এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করে সন্ধ্যার পর কেন্দুয়া-মদন সড়কের গোগবাজার এলাকায় দুলাল মিয়ার শাপলা ইট খলার কাছে আসতেই মোটর সাইকেল নষ্ট হওয়ার বাহানা করে। সেখানে আগে থেকেই সুমনের বন্ধুরা অপেক্ষা করছিল। পরে তারা সুমনকে হাত-পা বেঁধে নাটক সাজিয়ে গার্মেন্টসকর্মীকে গণধর্ষণ করে। ধর্ষিতা কোন রকমে সেখান থেকে বের হয়ে আশপাশের স্থানীয় লোকজনের সাহায্য চাইলে কথিত স্বামীসহ ধর্ষণকারীরা ওই মটর সাইকেলটিই চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ধর্ষিতা বুঝতে পারে তাঁর স্বামীর পরিকল্পনাতেই তিনি গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন।

পরদিন ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে গণধর্ষনের সাথে জড়িত থাকার দায়ে বৈরাটী গ্রামের নুরে আলমের বন্ধু টিপু, সবুজ ও আমির হামজাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা আদালত স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করায় তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ঘটনার মূল হোতা কথিত স্বামী সুমন পরিচয়দানকারী নুরে আলম এতোদিন আত্মগোপনে ছিল। রবিবার সন্ধ্যায় গৌরিপুর-শ্যামগঞ্জ রাস্তার মাঝামাঝি স্থান থেকে কথিত স্বামী নুরে আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার আদালতে প্রেরণ করা হলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন