আগামী ২৭ জুলাই সিলেট জেলা যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য চলছে প্রস্তুতিও। নেতৃত্ব লাভে লবিং-তদবিরের পাশাপাশি চলছে প্যানেল গঠনের কাজও। তবে এরই মধ্যে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে জড়িয়েছে জেলা যুবলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী দুই নেতার অনুসারীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শাহপরাণ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গত ৩০ জুন সিলেট জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেয়া নিয়ে এ সংঘর্ষে জড়ান খাদিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আফছর আহমদ ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকেরা। দুজনেই সিলেট জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী।
ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে কয়েকটি দোকান, আটটি ট্রাক ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। আগুন দেওয়া হয় পুলিশের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলসহ তিনটি মোটরসাইকেলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংঘর্ষে চার পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। রাতে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করেন ট্রাক শ্রমিকরা। অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে রাত পৌনে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
এদিকে যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ৭৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দিনগত রাতে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনায়েত হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় শাহপরান ব্লক যুবলীগের ৩৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩৫/৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নয়জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষ একে অন্যকে দায়ী করলেও কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি বলে জানান ওসি আব্দুল কাইয়ুম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন