পানিবদ্ধতা নিরসন মহাপ্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম নগরীতে খালের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারি সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এ কার্যক্রম শুরু করেছে। উচ্ছেদ কার্যক্রমের প্রথম দিনে গত মঙ্গলবার রাজাখালী খালের ওপর গড়ে ওঠা ২৬টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে খালটির প্রায় ১ কিলোমিটার জায়গা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল (বুধবার) উচ্ছেদ কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে নগরীর নোয়াখালের ওপর গড়ে ওঠা ১৮টি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে খালটির প্রায় ৪০০ মিটার জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খালের একটি অংশে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এ সময় সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী, সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিনসহ সংশিশ্লষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প পরিচালক জানান, নোয়াখালের ওপর গড়ে ওঠা ১৮টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এসব স্থাপনার মধ্যে বহুতল-সেমিপাকা ঘর ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ছিল। আজ বৃহস্পতিবার নোয়াখালের আরেকটি অংশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সিডিএ সূত্র জানায়, পর্যায়ক্রমে নগরীর ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এসব খালের ওপর প্রায় ১৬শ স্থাপনা রয়েছে। আগামী দুই মাস উচ্ছেদ কার্যক্রম চলবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন