যশোর সদর উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের শিশু ইমরান হত্যা মামলায় তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীসহ দু’আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। একইসাথে এ মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন, ঘোড়াগাছা গ্রামের আন্দাউল্লাহ আজিজের ছেলে সবদুল ও আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুল হাকিম। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, একইগ্রামের দাউদ মোড়লের ছেলে ইদ্রিস আলী ও খোড়া কাশেমের ছেলে ইকবাল হোসেন।
স্পেশাল জজ আদালতের পিপি এসএম বদরুজ্জামান পলাশ জানিয়েছেন, ২০০১ সালের ২৪ এপ্রিল খুন হয় শিশু ইমরান (১২)। তার বাবার সাথে মা কহিনূর বেগমের বিবাহ বিচ্ছেদের পর আসামি সবদুলকে বিয়ে করেন তার মা। বিয়ের পর থেকে প্রথম ঘরের সন্তান ইমরানকে নিয়ে কহিনূর বেগমের তার দ্বিতীয় স্বামী সবদুলের প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। ঝগড়ার সময় সবদুল একাধিকবার ইমরানকে হত্যার হুমকি দেয়। কহিনূর বেগম সন্তানের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সবদুলের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। এতে ক্ষিপ্ত হয় সবদুল।
বিচ্ছেদের প্রায় ৭ মাস পর ২০০১ সালের ২৪ এপ্রিল বিকেলে ইমরান খেলা করতে বের হয়ে আর বাড়ি না ফেরায় তার নানার বাড়ির লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করে। একপর্যায়ে গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার পানের বরজের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ইমরানের নানা হায়াৎ আলী মল্লিক এ ঘটনায় সবদুল, আব্দুল হাকিম, ইদ্রিস আলী ও ইকবাল হোসেনকে আসামি করে যশোর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
পিপি আরো জানান, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে আদালত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণা শেষে দণ্ডিত আব্দুল হাকিমকে কারাগারে পাঠানো হয়। সবদুল পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন