একটি ছেলে বা মেয়ে যখন কৈশোর অতিক্রম করতে থাকে তখন তার মাঝে মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন স্পষ্ট হয়ে উঠে। আচার আচরণে লক্ষ্য করা যায় বৈচিত্র। এ সময়টাকেই বয়:সন্ধি বলা হয়। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে বা মেয়ে নিজেকে মাঝে মাঝে একাকী ভাবে। নিজের চারপাশের পরিবেশের সাথে চলতে গিয়ে অস্বাভাবিক আচরনও করে থাকে হঠাৎ করে। বয়ঃসন্ধিকালে ইষ্ট্রোজেন এবং প্রোজেসটেরন হরমোন একটি মেয়ের দৈহিক পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে যা পূর্ণতা লাভের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এ সময় মাড়ি লাল হয়ে ফুলে যেতে পারে। বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের দৈহিক পরিবর্তন আসতে থাকে। এর ফলে মাঝে মাঝে সে একাকী এবং বিষন্ন ্অনুভব করে থাকে। ঋতুচক্রের সূচনা হতে পারে।
আর ছেলেদের ক্ষেত্রে গোঁফ উঠে, কন্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে থাকে। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে এবং মেয়েদের মাঝে চঞ্চলতা অনুভূত হয়ে থাকে।
বয়ঃসন্ধিকালে দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তনের জন্য হরমোনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। এ সময় অনেক ধরণের হরমোন অধিক পরিমানে নিঃসরন হয় যার প্রভাব পড়ে মুখের অভ্যন্তরেও। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মাড়ির প্রদাহ, মাড়ি ফুলে যাওয়া অথবা মাড়ি থেকে রক্তপাত। বয়ঃসন্ধিকালের সময় পার হয়ে গেলে মুখের সমস্যাগুলো কমে আসে। তবে মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে মুখের অভ্যন্তরে অ্যাপথাস আলসার দেখা দিতে পারে। মাড়ির প্রদাহকালীন সময়ে মাড়িতে পাথর থাকলে স্কেলিং করা উচিৎ। মেডিকেটেড মাউথ ওয়াশ ব্যবহার না করে কসমেটিক মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করা ভাল। বয়ঃসন্ধিকালে পিতা-মাতার উচিৎ হবে সন্তানের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করা এবং তার সমস্যাগুলোর সমাধান করা। সন্তান যেন কোন অবস্থাতেই একাকীত্ব অনুভব না করে সে দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। তা’হলেই বয়ঃসন্ধিকালে মুখের সমস্যা এবং শারীরিক অন্যান্য সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল: dr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন