ফুসফুসের ক্যান্সার খুব পরিচিত অসুখ। আমাদের দেশে প্রতিবছর অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং অনেকেই মৃত্যুবরণ করে।
সাধারণত যারা খুব বেশি ধুমপান করেন তাদের ফুসফুসের ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা খুব বেশি। পাশাপাশি যারা বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ পেশায় জড়িত তাদেরও এই ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা খুব বেশি।এছাড়া বংশগত কারণেও এমন ক্যান্সার হতে দেখা যায়। বায়ুদূষণ বেড়ে যাওয়াতে বর্তমানে ফুসফুসের ক্যান্সারও বেড়ে গেছে।
ফুসফুস ক্যান্সার অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায় । প্রতিরোধের জন্য প্রথমেই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। ধূমপানের বিরুদ্ধে সর্বত্র ব্যাপক জনমত গড়ে তুলতে হবে। যারা ধূমপানে অভ্যস্ত তাদেরকে ধূমপানের কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। প্রয়োজনে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তবে ধূমপান ছাড়ার জন্য সদিচ্ছা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ । সরাসরি ধূমপানের মতো পরোক্ষ ধূমপানও অনেক বেশি ক্ষতি করে। বাড়িতে, অফিসে বা পাবলিক প্লেসে ধূমপান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। প্রকাশ্য স্থানে, বাসা-বাড়িতে, অফিসে, বাসে, রাস্তাঘাটে, বাজারে যারা ধূমপান করে তাদের সবাই মিলে প্রতিরোধ করতে হবে। বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকরা, নেতা এবং মসজিদের ইমামদের এই বিষয়ে ভূমিকা পালন করতে হবে। সিনেমা এবং নাটকে যাতে ধূমপানের দৃশ্য না থাকে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। বিভিন্ন কারণে যে বায়ুদূষণ হয় তা প্রতিরোধ করতে হবে।
ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে খাবারেরও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে। সবুজ শাক-সবজি নিয়মিত খেতে হবে। ফলমূলও প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এসবে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে ভাল ভুমিকা রাখে। কাশির সাথে রক্ত বা দীর্ঘদিন কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকলে দ্রুত চিকিৎসক দেখাতে হবে। সচেতনতাই অনেকাংশে প্রতিরোধ করতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সার।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন