২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ঋণ খেলাপিরাদের সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, বাজেটে ঋণ খেলাপিদের নানাভাবে সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এই খেলাপিরা কারা? ওই যে আমি বলেছি, সুবিধাভোগী-এই সুবিধাভোগীরা। সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশীদের বৈদেশিক মুদ্রার জমা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরা কারা? এরা সুবিধাভোগী। কানাডায় বেগমপাড়া হচ্ছে-এরা কারা? সুবিধাভোগী। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে কারা? এরা সুবিধাভোগী।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ মহিলা বিজ্ঞানী সমিতির উদ্যোগে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্ধ : আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সুবিধাভোগীর মধ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক নেতা আছেন, সমর্থক আছেন, ব্যবসায়ীরা আছেন, আছেন প্রশাসনের ব্যক্তিরাও। এই সুবিধাভোগীদের দ্বারাই চলছে সরকার, তাদের দ্বারাই সরকার প্রতিষ্ঠিত এবং তাদের জন্যই এই বাজেট। বাজেটকে ঋণ নির্ভর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন মাথাপিছু ঋণের ৬৭ হাজার ২৩৩ টাকা। এই বছর বাজেটে ঋণ আরো বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৭ হাজার ২৩৩ টাকা। অর্থাৎ ৬৭ হাজার টাকার সাথে আরো আরো ৭ হাজার বৃদ্ধি পাবে মাথাপিছু ঋণ। শিক্ষাখাতে বরাদ্ধ কম হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা সকলেই জানেন, আমাদের জিডিপির ২ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্ধ, আমাদের বাজেটে দেখানো হয়েছে ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। সত্যিকারভাবে শিক্ষার বাজেট ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।এখানে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে শিক্ষাখাত দেশের জনগণকে সার্বিকভাবে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে দেশকে স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ করবে সেই শিক্ষাখাতকে অবহেলা করা হয়েছে, জনগণকে ফাঁকি দেয়া হয়েছে। সরকার জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, এভাবে ফাঁকি দিয়ে তাদের বেশিদিন ক্ষমতায় ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
শিক্ষকদের জন্য আলাদা বেতন কাঠানো প্রণয়ন, প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের তৈরি, বেসরকারি শিক্ষকদের জাতীয়করণসহ শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বাজেটে কোনো দিক-নিদের্শনা নেই বলে অভিযোগ করেন খন্দকার মোশাররফ। সংগঠনের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শাহিদা রফিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, কলামিস্ট ইকতেদার আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর নূর জাহান, প্রফেসর এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, স্বাধীনতা ফোরামের আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন