টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ঝিনাই নদীতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে কুর্ণী-ফতেপুর সড়কে কালভার্টসহ প্রায় ৪০০ ফুট রাস্তা নদী গর্ভে চলে গেছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজারো লোকজনকে।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ঝিনাই নদীর পানি বৃদ্ধি শুরু হয়। এতে চাকলেশ্বর, থলপাড়া, বৈলানপুর-পাতিলাপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের তীব্রতার কারণে এরই মধ্যে রাস্তা, ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। হিলরা বাজারের উত্তর পাশের অধিকাংশ স্থান ভেঙে গেছে। বাজারের পাশ দিয়ে এলজিইডির নির্মিত কালভার্টসহ রাস্তা ভেঙেছে। পানি বাড়ার পাশাপাশি নদী থেকে বালু তোলা ভাঙনের কারণ বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ভাঙনের ফলে পাশে থাকা আবাদী জমির উপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। আগে যেখানে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার ৫শ’ যানবাহন চলতো এখন সেখানে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র স্থানীয়দের মোটরসাইকেল, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা ও ভ্যান চলাচল করছে।
সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হক মিয়া জানান, ভাঙনের ফলে আগে যেখানে প্রায় ৩০০ সিএনজি চলতো এখন সেখানে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাত্র ৬০-৭০টি সিএনজি চলে। বাকীরা অন্য জায়গা দিয়ে সিএনজি চালাচ্ছেন। এতে তাদের আয়ও কমে গেছে।
ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ খান জানান, পাতিলাপাড়া-বৈলানপুর এলাকার পানি নদীতে ফেলতে প্রায় ১৫ বছর আগে কালভার্ট স্থাপন করা হয়েছে ছিল। আর চার বছর আগে রাস্তা সংস্কার করার সময় ১৮ লাখ টাকা ব্যায়ে কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। যার কোন প্রয়োজনই ছিলনা। কি কারণে কালভার্ট নির্মাণ করা হয় তা তার বোধগম্য নয়। পাইপের মাথায় কালভার্ট থাকাতে পানি চুইয়ে নদে পড়ায় কালভার্টের নীচ থেকে মাটি সরে যেতে থাকে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা ড্রেজার দিয়ে একই স্থানে নদী থেকে বালু তোলে। ফলে হিলরা বাজারের উত্তর পাশসহ, কালভার্ট ও সড়ক নদীতে ভেঙে গেছে।
থলপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া বলেন, ওই এলাকা প্রতিবছরই নদী ভাঙনের শিকার হয়। কিন্তু ভাঙন রোধে কার্যকর কেউ কোন পদক্ষেপ নেয় না। জরুরি ভিত্তিতে এর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
মির্জাপুর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ভূইয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন