বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যালের দোকান সরিয়ে নেয়ার দাবি পরিবেশবাদীদের

প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পুরান ঢাকা থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থের গুদাম, কারখানা ও দোকান সরিয়ে নেয়ার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুরান ঢাকা’র নিমতলীতে এক মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থের ব্যবস্থাপনায় সামান্য ত্রুটির কারণে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ। ২০১০ সালের পুরান ঢাকার নিমতলীতে একটি ভবনের নিচতলার রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদামে আগুন লেগে মুহূর্তেই তা বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এ অগ্নিকা-ে ১২৪ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাসায়নিক কারখানা, গুদাম, দোকানে আগুন নিভানোর নিজস্ব কোন ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনীয় রাস্তার অভাবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে না। অনেক সময় অগ্নিকা-স্থলের কাছে জলাধার না থাকায় পানির অভাবে ফায়ার সার্ভিসকেও বেগ পেতে হয়। অন্যান্য বক্তরা বলেন, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা, সিটি করপোরেশনের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতা এবং ভবনের মালিক ও রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের ব্যবসায়ীদের আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হওয়ার কারণে নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকা-সহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেন।
তাদের মতে, আবাসিক এলাকা থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থের গুদাম, শিল্পকারখানা ও দোকান সরিয়ে নেয়া না হলে নিমতলীর মতো আবারও যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ঢাকা মহানগরীতে এক হাজারেরও বেশী কেমিক্যাল কারখানা, গুদাম রয়েছে। এর মধ্যে আটশত পঞ্চাশেরও বেশি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল কারখানা, গুদাম পরিচালনার কোন সুযোগ নেই। পবার প্রোগ্রাম অফিসার সাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন পবার সহ-সম্পাদক মো. সেলিম, দেবীদাশ ঘাট সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি মো. মুসা, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগ সভাপতি নাজিম উদ্দিন, পবা সদস্য জাহাঙ্গীর যুবরাজ, নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) প্রচার সম্পাদক ক্যামেলিয়া চৌধুরী, পুকুর রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মিন্টু, বুড়িগঙ্গা পূনউদ্ধার কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন