বরিশাল মহানগরীতে জাতীয় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত করে বিশাল রেইন্ট্রি গাছ কেটে ফেলার একটি প্রক্রিয়া সড়ক বিভাগের প্রচেষ্টায় আপতত বন্ধ হয়েছে। তবে এর পেছনের শক্তি চিহ্নিত করে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। মহানগরীর কাশীপুর চৌমাথার অদূরে বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কের পাশে নির্মণাধীন একটি ফিলিং স্টেশনের সামনে শতবর্ষী বিশাল রেইন্ট্রি গাছটি এর আগেও একবার কাটার উদ্যোগ নেয়া হলেও বরিশাল সড়ক বিভাগের বাধায় তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সরকারি ছুটির দিনকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু শ্রমিক প্রকাশ্য দিবালোকেই গাছটির ওপরের অংশ কাটতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বিশাল ঐ গাছের ওপর দিকের একটি বড় অংশ কেটে রস্তার ওপর ফেলায় বেশ কয়েক ঘণ্টা বরিশাল-ফরিদপুর মহাসড়কে যানবাহন চলাচলও ব্যাহত হয়।
বরিশাল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সরকারি ছুটির দিনে কোন দুষ্ট চক্র এ কাজটি করেছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কেটে ফেলা গাছের টুকরো আটক করে সড়ক ও জনপথ এর জিম্মায় নেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।
তবে ঐ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্মাণাধীন একটি ফিলিং স্টেশনের মালিক শাওনের নিয়োজিত শ্রমিকরাই সরকারি ঐ গাছটি কাটতে শুরু করে। পরে সড়ক বিভাগের বাধার মুখে তারা পালিয়ে যায়।
সম্প্রতি প্রায় ১২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল-পটুয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের বরিশাল সড়ক বিভাগের ৬০ কিলোমিটার রাস্তা স¤প্রসারণ করে ২৪ ফুটে উন্নীত করা হলেও কোন গাছ কাটা হয়নি। ১৯৬০-৬৫ সালে মহাসড়কটি নির্মাণের পরে দু’ধারে বিপুল সংখ্যক গাছ লাগানো হয়। এছাড়াও এ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে শতবর্ষেরও বেশি পুরনো কিছু গাছ রয়েছে যা স্থানীয় সাধারণ মানুষও লালন করছেন।
কিন্তু কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মহাসড়কের পাশের সরকারি মূল্যবান গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স¤প্রতি গৌরনদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেও তার পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন মহাসড়কের ওপর কয়েকটি গাছ কাটার অভিযোগ ওঠে।
সর্বশেষ বরিশাল মহানগরীর কাশিপুর এলাকা থেকে শতবর্ষী রেইন্ট্রি গাছ কাটার বিষয়টি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে। তবে ডোস্ট ফিলিং স্টেশনের অন্যতম সত্ত¡াধিকারী শাওন এক বিবৃতিতে নির্মাণাধীন ফিলিং স্টেশনের সামনের গাছ কাটার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসির সাথে ফোনে আলাপ করা হলে তিনি জানান, গাছ কাটার বিষয়টি তিনি জানেন না। এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন